সোমবার আমিশার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে ইউটিএফ টেলিফিল্ম প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষ থেকে। সংস্থার পক্ষ থেকে আদালতে ভোপালে ডিস্ট্রিক্ট ও সেশন কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী রবি পন্থ।
তার অভিযোগ, সিনেমা তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজের প্রযোজনা সংস্থার নামে ৩২ লাখ ২৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন আমিশা। পরে তা চেকের মাধ্যমে ফেরত দেন। কিন্তু তার দেওয়া সেই চেক বাউন্স হয়ে যায়। তারপরই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার মামলা করা হয়।
আইনজীবীর বক্তব্য শুনেই আমিশার বিরুদ্ধে জামিন যোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। অর্থাৎ এখনই তাকে গ্রেফতার করা হবে না। অগ্রিম জামিনের সুযোগ থাকবে। আগামী ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে অভিনেত্রীকে আদালতে হাজির হতে হবে। তা না হলে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট জারি করা হবে বলেও জানা গেছে।
‘কহোনা প্যায়ার হ্যায়’ সিনেমায় হৃতিক রোশনের বিপরীতে নিজের অভিনয় সফর শুরু করেন আমিশা। প্রথম ছবিই ছিল ব্লকবাস্টার হিট। পরে সানি দেওলের বিপরীতে ‘গদর: এক প্রেম কথা’ সিনেমায় নজর কাড়েন। সে ছবিও ছিল সুপারহিট। তারপর থেকে বলিউডে অনেক ছবিতেই অভিনয় করেন। তবে সাফল্য সেভাবে পাননি। এখন ‘গদর ২’ সিনেমায় অভিনয় করছেন। এর মধ্যেই আর্থিক প্রতারণা মামলায় জড়ালেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ২০১৯ সালে ইন্দোরে ১০ লাখ টাকার চেক বাউন্স হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সে বছর রাঁচিতেও নাকি অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠে।