• শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সংখ্যালঘু ইস্যুতে কেন্দ্র করে এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র পাকানো হচ্ছে শেখ হাসিনা বাকশালকে নতুন আঙ্গিকে করেছিলেন: যুগ্ম মহাসচিব রিজভী ‘হিন্দুর বন্ধু’ বলছেন ইউনূস-বিএনপি-জামায়াতকে, মোদির ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ‘বাংলাদেশের মোহন ভাগবত’ ১৯৭২ সালের সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়ায় আস্থা প্রকাশ ড. কামাল হোসেনের আমাদের সম্পর্কে চ্যালেঞ্জ হবে না, কমলা বা ট্রাম্প যেই জয়ী হোক  : শফিকুল আলম অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে  একদিনেই ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৬৬ ডেঙ্গুতে সারাদেশে গাজা এবং লেবাননে জবাব দেয়ার প্রতিশ্রুতি ইরানের বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প চীনে চালু হলো বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু  তাকলিমাকান মরুভূমির যে ভাবে জন্ম হয়েছিল 

ইয়াহিয়াকে বাংলাদেশ থেকে সৈন্য অপসারণ করতে বলেন- ইন্দিরা গান্ধী

অনলাইন ডেস্ক / ৪৪৫ Time View
Update : বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১

‘বাংলাদেশ’ রাষ্ট্রের পরিচয়ে মাথা তুলে দাঁড়াবার চূড়ান্ত বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। সেই অনন্য অর্জন অন্যদিকে এই ডিসেম্বর স্বজন হারানোর মাস। ৩০ লাখ প্রাণ ও অসংখ্য নারীর সম্ভ্রম হারানোর বেদনা মিশে আছে এই বিজয়ের ক্ষণে। জাতির জীবনে আবারও এসেছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর।

কোটি মানুষের হৃদয়ে এই ডিসেম্বর আসে প্রেরণা, প্রতিজ্ঞার বার্তা নিয়ে। প্রতিকূল পরিস্থিতিকে পরাজিত করে সুন্দর, সত্যের পথে লড়াইয়ের সঞ্জীবনী শক্তি লুকিয়ে রয়েছে এই ডিসেম্বরে। আজ পহেলা ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই সময়ে সারা দেশে মুক্তিযুদ্ধ সর্বাত্মক রূপ পেয়েছে। পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল আক্রমণের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে। সারা দেশে চলতে থাকে ব্যাপক যুদ্ধ। এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পার্লামেন্টের উচ্চ পরিষদে বক্তৃতাকালে উপমহাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি সৈন্য অপসারণের নির্দেশ দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি সৈন্য অপসারণই সমস্যার শ্রেষ্ঠ সমাধান। এই বক্তৃতায় তিনি ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের জনসাধারণকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। ১৯৭১ সালে এই দিনে নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকার এক রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গেরিলা তত্পরতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক জান্তাদের নির্দেশে সামরিক বাহিনীর লোকেরা পুনরায় গ্রামবাসীকে হত্যা এবং বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার বর্বর অভিযান শুরু করেছে। গেরিলা সন্দেহে জিঞ্জিরার কত জন যুবককে যে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে হত্যা করেছে তার ইয়ত্তা নেই। বুড়িগঙ্গার অপর পাড়ের এই গ্রামটিতে অন্তত ৮৭ জনকে সামরিক বাহিনীর লোকেরা হত্যা করেছে। এদের অধিকাংশই যুবক। নারী ও শিশুরাও ওদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। এদিন রাওয়ালপিন্ডিতে একজন সরকারি মুখপাত্র জানায়, অধুনালুপ্ত আওয়ামী লীগ-প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার এখনো শেষ হয়নি। তিনি বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের চারটি রণাঙ্গণে যে আক্রমণাত্মক চাপ সৃষ্টি হয়েছিল তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। ’৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা অপারেশন চালিয়ে ঢাকায় দুজন মুসলিম লীগ কর্মীকে হত্যা করে। বাকি দুজনকে বুলেটবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে, মুক্তিযোদ্ধারা শেষ রাতের দিকে সিলেটের শমশেরনগরে অতর্কিতে আক্রমণ চালিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীকে নাজেহাল করে তোলে। মুক্তিবাহিনীর তীব্র আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী এই এলাকা থেকে পালাতে শুরু করে। মুক্তিবাহিনী টেংরাটিলা ও দুয়ারাবাজার মুক্ত ঘোষণা করে। মুক্তিবাহিনীর অপারেশন অব্যাহত থাকায় পাকিস্তানি বাহিনী এই জেলার গারা, আলিরগাঁও, পিরিজপুর থেকে তাদের বাহিনী গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়। এদিকে, পিপলস পার্টির ঢাকা অফিস বোমা বিস্ফোরণের ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জুলফিকার আলি ভুট্টো দুই মাস আগে এ অফিস উদ্বোধন করেন। রাঙ্গামাটিতে ব্যাপটিস্ট মিশনে হানাদার বাহিনী কর্তৃক আক্রান্ত হয়ে চার্লস আর হাউজার নামে একজন ধর্মযাজক এবং বহু বাঙালি সন্ন্যাসী নিহত হন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা