পরোপকারী জনহিতকর কর্মের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে বাবুল তৃণমূল নেতা-কর্মীদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন । বাবুল আনোয়ারা উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের পূর্ব বরৈয়া গ্রামে ১৯৭০ সালে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন । বাবার নাম আবুল খায়ের, মাতার নাম নুরজাহান বেগম । ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিবাহিনীর বিভিন্ন গ্রুপে রসদ সরবরাহ সহ মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছিলেন বাবুলের স্বনামধন্য পিতা আবুল খায়ের । আবুল খায়ের ছিলেন বটতলী এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী । বাবুল ১৯৮৫ সালে বটতলী শাহ্ মোহছেন আউলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন ১৯৮৯- ৯০ সালে আনোয়ারা কলেজ ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন । পরবর্তীতে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আলমগীর টিটু অসুস্থতাজনিত কারণে একমাসের জন্যে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন বাবুল । ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ডুমুরিয়া গ্রামের নাজিম উদ্দীন । বাবুল ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকের পক্ষে নিজ এলাকায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন । ২০০৩ সালে বটতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ১৯৮৬ সালে পূর্ব বরৈয়া শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের সভাপতি ছিলেন আজিজুল হক বাবুল । তিনি ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন এবং ১৯৯৬ সালে স্বৈরাচারিনী খালেদা বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন । এ প্রসঙ্গে বাবুল বলেন, ১৯৯৬ সালে বিএনপির একতরফা প্রহসনের নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে ষরযন্ত্রমূলকভাবে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী হই । ২০১৩ সালে বিএনপি, জামায়াত-শিবির থেকে আগত অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড ও পূর্ব বরৈয়া গ্রামের কুখ্যাত রাজাকার আব্বাস উদ্দিন চৌধুরীর দানব সন্তানদের চক্রান্তে একটি খুনের মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী হতে হয় আমাকে । পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলাগুলো আইনগতভাবে মোকাবিলা করেছি । পরবর্তীতে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পর সকল মামলা থেকে বেকসুর খালাস পাই । বাবুল বলেন ওইসব মামলায় আমার প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে । তিনি বলেন, দল থেকে চাওয়া-পাওয়া কিছুই ছিলোনা । বরং দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছি, মামলা-হামলার শিকার হয়েছি, সহায় সম্বল হারিয়েছি । আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতীক পেলে এলাকায় জনগুরুত্বপূর্ণ কি কি দায়িত্ব পালন করবেন ? এর জবাবে তিনি বলেন, জনগণের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আমার প্রিয় নেতা আলহাজ্ব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’র সুযোগ্য সন্তান মাননীয় ভূমিমন্ত্রী আলহাজ্ব সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি’র পূর্ণ আস্থা ও ভালোবাসায় মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনার প্রতীক নৌকা পেলে আমি বিপুল ভোটে জয়ের লক্ষ্যে কাজ করবো । নির্বাচিত হলে জনগণের প্রকৃত সেবক হিসেবে নিজেকে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রাখবো । এলাকার অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করবো । বাবুল বলেন, জনপ্রতিনিধ নয়, আমি হতে চাই জনগণের প্রকৃত সেবক । শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে বাবুল আনোয়ারা কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন । বাবুল ছোটো-বড় ভেদাভেদ করে না। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলেন । এজন্যই ইউনিয়নের সুধী সমাজে আছে তার সুনাম । বাবুলের মতো একজন অসাম্প্রদায়িক প্রগতিবাদী দায়িত্ববান মানুষ বর্তমান সমাজে বড়ই বিরল । ভালো মানুষ হিসেবে তার সুখ্যাতি ছিল এবং এখনো আছে । সব ধর্মের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতের মাধ্যমে সম্প্রীতির ইউনিয়ন গড়ার শপথ করেন তিনি ।