সব জায়গায় ভিডিও ফুটেজ আছে, অপরাধ যে করবে তাকে ধরা ফেলা কঠিন হচ্ছে না। ভবিষ্যতে যারা গাড়ি ভাঙচুর করবে, আগুন দেবে তাদেরও খুঁজে বের করা হবে। তাদেরও শাস্তি দেওয়া হবে আর ওই গাড়িতে যদি কেউ মারা যায় বা আগুনে পোড়ে তার জন্যও কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। আমাদের দেশে এখন যে উন্নয়ন আমরা করে যাচ্ছি, সেটা ধরে রাখতে হবে এবং বাংলাদেশের মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আজকের শিশুরা সেভাবে নিজেদের গড়ে তুলবে আমি সেটাই প্রত্যাশা করি। বুধবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডিতে নির্মাণাধীন জয়িতা টাওয়ারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ নিহত হলে আন্দোলনের নামে ভাঙচুর না করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা মানুষ মারা গেল, আর ১৫টা গাড়িতে আগুন দিলেন, এতে যারা আহত বা নিহত হলেন, ক্ষতিগ্রস্ত হলেন সেই দায়িত্বটা কারা নেবে। তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তো তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িচাপায় দু’জন নিহতের ঘটনার কারণ খুঁজে বের করা হবে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ছাত্র মারা গেছে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি এই রহস্য বুঝলাম না, দক্ষিণে মারা গেল এরপরের দিন উত্তরে মারা গেল কেন! এর কারণটা কী? এই কারণটা এবং এজন্য কারা দায়ী খুঁজে বের করতে হবে। যখন ময়লার গাড়ি যাচ্ছিল তখন তার সামনে দিয়ে কেউ হেঁটে যাবে কেন, সেটাও দেখতে হবে। গাড়ি যে চালাচ্ছিল, এই গাড়ি চালানোর মতো দক্ষতা তার আছে কিনা সেটাও বিবেচনা করতে হবে। উভয় দিকে দায়িত্বশীলতা কার কতটুকু আছে সেটা আমাদের দেখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরেকটা কথা সবার জন্য বলতে চাই—রাস্তাঘাটে চলার সময় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। যেখান-সেখান থেকে রাস্তা পার হতে গেলে দুর্ঘটনা হবেই। একটা চলমান গাড়ি চট করে ব্রেক করতে পারে না, ব্রেক কষতে সময় লাগে। রাস্তা পারাপারের জায়গা নির্দিষ্ট করা আছে। হঠাৎ করে দৌড় দেবে তারপর অ্যাকসিডেন্ট হবে আর অ্যাকসিডেন্ট হলেই রাস্তায় লোক নেমে গাড়ি ভাঙা, গাড়িতে আগুন দেওয়া-পোড়ানো এটা কী ধরনের কথা! শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখন পড়াশোনা করতে হবে। যার যার স্কুলে ফিরে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে করোনাভাইরাস একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। আমরা ভ্যাকসিন দিচ্ছি। নতুন আরেকটা ওয়েভ আসছে। যে কোনো সময় এটা যদি বিস্তার লাভ করে তাহলে আবার স্কুল সব বন্ধ হয়ে যাবে। কাজে যেখানে সময় পাওয়া যাচ্ছে, সবাইকে যার যার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।