সভায় খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং জিয়া পরিবারের সদস্য, বিশেষ করে নারী সদস্যদের নিয়ে ডা. মুরাদ হাসানের অশালীন, অরুচিকর রাজনৈতিক ও সামাজিক শিষ্ঠাচার বিবর্জিত সম্মানহানিকর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান স্থায়ী কমিটির নেতারা। তারা বলেন, রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীল পদে থেকে এই ধরনের নারী বিদ্বেষী, বর্ণবাদী, সমাজবিরোধী বক্তব্য ও সংবিধানবিরোধী এই বক্তব্যের মাধ্যমে সমগ্র নারী সমাজ এবং মানবতাকে হেয় করা হয়েছে। তাই ডা. মুরাদকে মন্ত্রিসভা ছাড়াও জাতীয় সংসদ থেকে অপসারণ ও প্রকাশ্যে জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। পরে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয় দলটি। সারাদেশে অনুষ্ঠিত এসব সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। সভায় আগামী শুক্রবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালনের জন্য স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন এর মানবাধিকার বিষয়ক কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সভার শুরুতে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে মহাসচিব সভাকে অবহিত করেন। সভায় খালেদা জিয়ার আশু রোগ মুক্তির জন্য দোয়া করা হয়।