বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবার শরীরেই কমবেশি পরিবর্তন হয়। বিভিন্ন হরমোনের ঘাটতি এবং স্ট্রেস স্তরটি শরীরের অভ্যন্তরীণ সিস্টেমে মারাত্মক ক্ষতি করে দেয়। বিশেষ করে নারীদের চল্লিশের পর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই সুস্থ থাকতে কিছু রোগের বিষয়ে নারীদের বেশি সচেতনতার প্রয়োজন।
উচ্চ রক্তচাপ
মধ্যবয়সী নারীদের মাঝেমধ্যেই রক্তচাপ বৃদ্ধির সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, যদি অবহেলা করে চিকিৎসা না করা হয় তবে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ঠিকঠাক ডায়েট ও জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমেই রক্তচাপ কমানো সম্ভব। শুধুমাত্র ওষুধ নয় নিয়মিত যোগব্যায়াম ও খাওয়াদাওয়ার মাধ্যমেও হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো মারাত্মক ঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়।
স্তন ক্যান্সার
সব বয়সের নারীদের নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। স্তন ও জরায়ুর ক্যান্সার হলো দুটি সাধারণ ক্যান্সার যা সব বয়সের নারীদেরকে প্রভাবিত করে এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝুঁকির মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। স্তন পরীক্ষা প্রাথমিক পর্যায়ের কোনো ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করবে। সুরক্ষার জন্য বছরে একবার পরীক্ষা করানোর উপদেশ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডায়াবেটিস
খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন না আনলে, চল্লিশের পর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তেল-চর্বি-অতিরিক্তি চিনি-লবণযুক্ত ভুল খাবার খাওয়া এবং ওজন বাড়ানো অগ্ন্যাশয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এটি সহজেই রক্তে শকর্রার মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। রক্তের শকর্রার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এমন খাবার বেছে নিতে হবে চল্লিশের পর।
হাড়ের শক্তি হ্রাস
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন হাড়ে ঘনত্ব এবং শক্তি হ্রাস পায়। হাড়গুলো দুর্বল এবং কখনো কখনো ভেঙে যায়, যা আঘাত বা ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি বাড়ায়। অস্টিওপোরোসিস পুরুষদের তুলনায় নারীদেও মধ্যে বেশি দেখা যায়। কখনো হাটুতে বা কোমরে ব্যথা অনুভব করলে, দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
হৃদরোগের ঝুঁকি
নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা হৃদরোগ এবং স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি থেকে সচেতন থাকতে সহয়তা করে। যদি রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরল থাকে তবে ডায়েট পরিবর্তন, নিয়মিত ব্যায়াম ও চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেতে হবে।