• রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সমৃদ্ধ রাজস্ব ভাণ্ডার গঠনে কাস্টমস অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে : প্রধান উপদেষ্টা স্বাধীনতার পর সব গুম- খুনের বিচারের দাবি জামায়াত আমিরের দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস দুর্বৃত্তরা গুজব ছড়িয়ে চট্টগ্রাম ইপিজেডকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে : সিএমপি বিএনপি’র রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস জনগণ : তারেক রহমান আওয়ামী লীগ ফেরত আসলে ফ্যাসিবাদ ফেরত আসবে : উপদেষ্টা মাহফুজ আলম হাসপাতাল ছেড়ে ছেলের বাসায় উঠেছেন বেগম খালেদা জিয়া নওগাঁ মহাদেবপুরে ভুমি কর্মকর্তাদের বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে ভোলাচং যুব সমাজের উদ্যোগে মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত। আনোয়ারায় জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ

চীনে উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে : স্বাধীন ট্রাইব্যুনাল

অনলাইন ডেস্ক / ৩৭১ Time View
Update : শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২১

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দেশটির কর্তৃপক্ষ গণহত্যা সংঘটিত করেছে- এমন রুল দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি অনানুষ্ঠানিক স্বাধীন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল বৃহস্পতিবার এই রুল জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাইব্যুনালের প্যানেলটি আইনজীবী ও শিক্ষাবিদদের নিয়ে গঠিত। ওই ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত ব্রিটিশ আইনজীবী স্যার জিওফ্রে নাইস। তিনিই ট্রাইব্যুনালের রুল পড়ে শোনান। ট্রাইব্যুনালের রুলে এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার প্রাথমিক কারণ হিসেবে উইঘুরদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত জন্মনিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ্যাকরণ ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জিওফ্রে নাইস বলেন, উইঘুর ও অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দীর্ঘ মেয়াদে কমানোর জন্য চীন একটি ইচ্ছাকৃত, পদ্ধতিগত ও সমন্বিত নীতির প্রয়োগ করেছে বলে তার প্যানেলের কাছে সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। জিওফ্রে নাইস বলেন, ট্রাইব্যুনালের প্যানেল বিশ্বাস করে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জিনজিয়াং অঞ্চলে মুসলিম সংখ্যালঘুদের নির্যাতন-নিপীড়নের প্রাথমিকভাবে দায়ভার বহন করেন। জিওফ্রে নাইস আরও জানান, জিনজিয়াংয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যার কোনো প্রমাণ তারা পাননি। কিন্তু সেখানে জন্মরোধের যে কথিত রাষ্ট্রীয় প্রচেষ্টা, তা গণহত্যার শামিল। ট্রাইব্যুনালের প্যানেল বলছে, তারা উইঘুর জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, নির্যাতন ও যৌন সহিংসতা সংগঠনের প্রমাণ পেয়েছেন। তবে ট্রাইব্যুনালের এ রুলের কোনো আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই। এই ট্রাইব্যুনালের রুলিংয়ের প্রতিক্রিয়ায় চীনের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, এটি একটি মেকি ট্রাইব্যুনাল। এ ট্রাইব্যুনাল জনগণকে প্রতারিত ও বিভ্রান্ত করার জন্য কিছু চীনবিরোধী গোষ্ঠীর ব্যবহৃত একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার। প্রথম থেকেই চীন সরকার জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। অন্যদিকে, ট্রাইবুনালের রুলিংয়ের পর বিবিসির সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক নেতা ও চীনবিষয়ক ইন্টার-পার্লামেন্টারি অ্যালায়েন্সের কো-চেয়ার স্যার ইয়ান ডানকান স্মিথ। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য সরকারের চীনকে গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত করার সময় এসেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা