এই বছরের জানুয়ারিতে ব্রিটিশ আদালতের এক রায়ে বলা হয়, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ থাকায় উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। তবে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে মার্কিন সরকার। ওই আপিলের শুনানি শেষে ব্রিটিশ আদালতের বিচারকের রায় দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আশ্বাসের কারণে আত্মহত্যার ঝুঁকি বাদ দেওয়া হয়েছে। ২০১০ ও ২০১১ সালে হাজার হাজার মার্কিন গোপন নথি ফাঁসের অভিযোগে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে বিচারের মুখোমুখি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হলে তাকে কঠোর নিয়ন্ত্রিত কারাগারে রাখা হবে—এমন ঝুঁকির ভিত্তিতেই নিম্ন আদালতের বিচারকেরা জানুয়ারিতে রায় দিয়েছিলেন বলে মনে করছেন যুক্তরাজ্যের সিনিয়র বিচারকেরা। পরে মার্কিন কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেয় যে অ্যাসাঞ্জ ওইসব কঠোর পদক্ষেপের মুখোমুখি হবেন না। তবে ভবিষ্যতে তিনি কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মতো কোনো কাজ করলে তাকে তার আওতায় পড়তে হতে পারে। যুক্তরাজ্যের লর্ড চিফ জাস্টিস লর্ড বার্নেট তার রায়ে বলেন, ‘যে আশ্বাসের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তার ভিত্তিতে ওই ঝুঁকি আমাদের বিচার থেকে বাদ দেওয়া হলো।’ তবে ব্রিটিশ আপিল আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে অ্যাসাঞ্জ আপিল করতে পারবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। যদিও লর্ড জাস্টিস হলরোইডে আদালতে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা আরেকটি আপিল আনার কথা চিন্তা করছেন।