• রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সমৃদ্ধ রাজস্ব ভাণ্ডার গঠনে কাস্টমস অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে : প্রধান উপদেষ্টা স্বাধীনতার পর সব গুম- খুনের বিচারের দাবি জামায়াত আমিরের দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস দুর্বৃত্তরা গুজব ছড়িয়ে চট্টগ্রাম ইপিজেডকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে : সিএমপি বিএনপি’র রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস জনগণ : তারেক রহমান আওয়ামী লীগ ফেরত আসলে ফ্যাসিবাদ ফেরত আসবে : উপদেষ্টা মাহফুজ আলম হাসপাতাল ছেড়ে ছেলের বাসায় উঠেছেন বেগম খালেদা জিয়া নওগাঁ মহাদেবপুরে ভুমি কর্মকর্তাদের বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে ভোলাচং যুব সমাজের উদ্যোগে মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত। আনোয়ারায় জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের আগে অনেক অনিয়ম

অনলাইন ডেস্ক / ৪২৯ Time View
Update : শনিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২১

শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) গত ১১ নভেম্বর ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একজন প্রার্থী ছাড়া বাকি ৪৮ জনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার দেখানো হয়। পরে জানা যায়, সবার সই জাল করে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে; যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচন অনুষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকারীরা। ভয়াবহ জালিয়াতির এ অভিযোগ তদন্তও করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সত্যতা পাওয়ায় স্থগিত করা হয় ভোট।

এবারের ইউপি ভোটে সংসদ সদস্য (এমপি), উপজেলা চেয়ারম্যানসহ প্রভাবশালীদের পছন্দের প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী করতে এমন নানা অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি সংসদের বৈঠকেও প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু অভিযোগ করেছেন, তার দলের প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতারা চাপ দিচ্ছেন।  এখন পর্যন্ত চার ধাপের ভোটে তিন হাজার ৪০টি ইউপিতে ২৯৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। প্রথম ধাপে ৩৬৪টি ইউপিতে ৭১ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৩টির মধ্যে ৭৭, তৃতীয় ধাপে ১০০১টির মধ্যে ১০০ এবং চতুর্থ ধাপে ৮৪২টির মধ্যে ৪৮ চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট ছাড়াই জয়লাভ করেছেন। বিনা ভোটে জয়ী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষকে ভয়ভীতি, হুমকি-ধমকি, আর্থিক প্রলোভনসহ রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ রয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা হয় না। এর কারণ সম্পর্কে একাধিক প্রার্থী বলেছেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার এমন চিত্র তারা মেনে নিয়েছেন। অভিযোগ দিলে প্রতিকার পাওয়া যাবে- এমন কোনো সম্ভাবনা তারা দেখছেন না। ইউনিয়ন পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১৬ অনুযায়ী, ‘মনোনয়নপত্র দাখিল ও প্রত্যাহারে অন্য কোন প্রার্থী বা ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান ও কোন রাজনৈতিক দলের কেউ কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করলে তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে।’ একই সঙ্গে ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অর্থ, অস্ত্র ও পেশিশক্তি অথবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা নির্বাচন প্রভাবিত করলে তাও আইনত দণ্ডনীয় বলে গণ্য হবে।’ এ ক্ষেত্রে ব্যক্তির জন্য সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিতের বিধান রয়েছে। রাজনৈতিক দল বা সংস্থার ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ইসি কার্যালয়ের সচিব মে. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সমকালকে বলেন, শরীয়তপুরের চিতলিয়া ইউপিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অন্য কোনো স্থান থেকে এ ধরনের অভিযোগ ইসিতে জমা পড়েনি। রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হুমকির ঘটনা আচরণবিধির লঙ্ঘন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, দল থেকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে একজন প্রার্থীকে। অন্য কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চাইলে নির্বাচন কমিশন থেকে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে চাপ প্রয়োগ করলে সেটা রিটার্নিং কর্মকর্তা বা নির্বাচনী মাঠে ইসির মোতায়েন করা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ দিতে হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সাংবিধানিকভাবে গঠিত স্বাধীন নির্বাচন কমিশন যখন অন্ধ, বধির ও অকার্যকর হয়ে পড়ে, তখনই তারা অভিযোগ পাওয়ার পরে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে। অভিযোগ না করলে অনিয়ম চলবে- এটা খোঁড়া যুক্তি। ইসির দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা। তিনি বলেন, রাজনীতি এখন আর জনকল্যাণে নেই। পুরোপুরি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এ কারণেই দলীয় প্রশাসন ও ইসির সম্পৃক্ততায় রাজনীতিকরা তাদের বিনিয়োগ নিরাপদ করতে পছন্দের প্রার্থীকে বিনা ভোটে জয়ী করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় চতুর্থ ধাপে ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে আগামী ২৬ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ করা হবে। তবে ভোটের আগেই দুপ্তারা, ব্রাহ্মন্দী, ফতেপুর, হাইজাদী, বিশনন্দী ও মাহমুদপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।  দেশের বিভিন্ন স্থানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান জয়লাভ করার নেপথ্য কাহিনি খুঁজতে গিয়ে অভিনব কিছু ঘটনার কথা জানা গেছে। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ছয় প্রার্থী ভোটের আগেই জয় নিশ্চিত করেছেন। এর মধ্যে হাইজাদী ইউপিতে নৌকার প্রার্থী ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান আলী হোসেন ভূঁইয়া। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ইউপি সদস্য সেলিনা বেগম হাওয়া। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উভয়ের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা হওয়ার পর থেকে সেলিনাকে প্রত্যাহারের জন্য চাপ শুরু হয়। এক পর্যায়ে সেলিনা শর্তসাপেক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাহারে রাজি হন। তার শর্ত, সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে তার জয় নিশ্চিত করতে হবে। এই শর্ত পূরণে সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পুনঃতপশিলের জন্য সব প্রার্থীর মনেনানয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ফেনীতে জাপার প্রার্থীদের হুমকি: দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি জানান, উপজেলায় হুমকির মুখে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। ফলে আওয়ামী লীগের পাঁচ প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। মাতুভূঞা ইউপির জাপার প্রার্থী আব্দুর রহিম অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন তার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে বাধ্য করেছেন। উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিনোদ বিহারী ভৌমিক ঝন্টু জানান, উপজেলা জাপা মনোনীত প্রার্থীদের হুমকি দিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছিল সরকারদলীয় প্রার্থীরা। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে জানানো হয়েছে। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবদিন মামুন জানান, কাউকে জোর করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে বাধ্য করা হয়নি। রিটার্নিং কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, কোনো প্রার্থীকে হুমকি দিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে এমন অভিযোগ তারা পাননি। অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হতো।  সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি জানান, উপজেলার মতিগঞ্জ ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান রবিউজ্জামান বাবুর বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। এই ইউপিতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপির আমিন উদ্দিন দোলন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন ও ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আব্দুল হক। আমিন উদ্দিন দোলন বলেন, তপশিল ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তার ওপর চাপ প্রয়োগ ও হুমকি-ধমকি এবং রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে পাহারা দেওয়া শুরু করেন। ভয়ভীতি উপেক্ষা করে গোপনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর প্রাণভয়ে তিনি এলাকা ত্যাগ করেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আপিলের জন্য নকল সংগ্রহ করতে গেলে পরদিন তার আইনজীবী রাশেদ ভুঞাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা মাইনুল হকের সামনে রবিউজ্জামান বাবুর উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা মারধর করে তাড়িয়ে দেন। তিনি জানান, একই দিন ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা তার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়গুলো অবহিত করলেও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আপিলে মনোনয়নপত্র বৈধ হয়। তারপর থেকে ক্ষমতাসীন দলের হুমকিতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মাইনুল হক বলেন, তার অফিসের বাইরে হামলার ঘটনার কথা তিনি শুনেছেন। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ কর্ণফুলীতে: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দিদারুল আলম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহানের মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে। মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন গত ২৫ নভেম্বর বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে শাহজাহানের পক্ষে ফরম জমা দেওয়ার জন্য যান তার ভাই মো. ইলিয়াছ মেম্বার ও জাহাঙ্গীর। তারা কাগজপত্র নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার রুমে যাওয়ার সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠার সময় আনসার সদস্যরা গেট আটকে রাখেন। তারা ফরম জমাদানের জন্য গেট খোলার অনুরোধ করলে ফাইল দেখতে চান। ফাইল দেখানোর সময় তাদের হাত থেকে ফাইল নিয়ে দৌড় দেন আগে থেকে অবস্থান নেওয়া দিদার চেয়ারম্যানের সমর্থকরা। ওই সময় পেছন থেকে আরও কয়েকজন তাদের ধাওয়া দিলে শাহজাহানের লোকজন আর ফরম জমা দিতে পারেননি। আমাদের কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, ইসলামী আন্দোলনের সাইফুদ্দিন দৌলতপুরী নামে আরেক প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও পরবর্তীতে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এ বিষয়ে দিদারুল আলমের ভাষ্য, ‘যারা সময়মতো মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারে না, তারা কীভাবে জনগণের সেবা করবে? আমার কোনো মানুষ কাউকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেয়নি।’ পুটিবিলা ও বড়হাতিয়ায়ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা: চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউপিতে বিজয় কুমার বড়ুয়া একক প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান এমডি জুনাইদ চাপের মুখে মনোনয়নপত্র জমা দেননি বলে জানা গেছে। এমডি জুনাইদ অবশ্য ‘ব্যক্তিগত’ কারণে নির্বাচন করছেন বলে জানিয়েছেন। লোহাগাড়া সংবাদদাতা জানান, সম্প্রতি সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে এমডি জুনাইদ বড়হাতিয়ার জনগণের ভালোবাসার কাছে ঋণী হয়ে বারবার ক্ষমা চান। বিজয় কুমার বড়ুয়া আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার চাচাতো ভাই। এ ছাড়া আবার বড়হাতিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে স্থানীয় এমপি নেজামউদ্দীন নদভীও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয় কুমারকে চেয়ারম্যান দেখতে চান বলে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেন। পুটিবিলা ইউনিয়নে এলডিপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. ফরিদুল আলম ৬ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। ফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। স্থানীয়রা মনে করছেন, জনসমর্থন থাকার পরও মো. ফরিদুল আলম চাপের মুখে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এ বিষয়ে ফরিদুল আলম দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, ‘সবই আল্লাহর ইচ্ছা। আমার কিছুই বলার নেই।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা