১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এ যুদ্ধ সম্পর্কে সতর্কবার্তাও দেন তিনি। তার দাবি, রুশ পদক্ষেপের কারণে ইউক্রেনসহ সমগ্র ইউরোপ ও বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ পরিণতি হবে। এ খবর দিয়েছে রয়টার্স। খবরে জানানো হয়েছে, সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেনের দুই অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন। এগুলো হলো স্বঘোষিত ডোনেটকস্ক পিপলস রিপাবলিক এবং লুগানস্ক পিপলস রিপাবলিক। পশ্চিমারা সতর্ক করে বলেছে এই পদক্ষেপ বেআইনি এবং শান্তি আলোচনা ভঙ্গের কারণ হতে পারে। এ নিয়ে লিন্ডা থমাস বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন মিনস্ক চুক্তিকে টুকরো টুকরো করে ফেলেছেন। তিনি এখানেই থামবেন বলেও কোনো বিশ্বাস নেই। সোমবার ইউক্রেনের দুই অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার পর ডনবাস অঞ্চলে ‘শান্তি বজায় রাখতে’ সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া নিরাপত্তা পরিষদে বলেন, কূটনৈতিক সমাধানের জন্য আমরা কূটনীতির জন্য সম্মত রয়েছি, তারপরও ডনবাস এলাকায় নতুন রক্তপাত আমাদের উদ্দেশ্য নয়। তবে বক্তব্যে নিরপেক্ষ ছিলেন চীনের দূত। জ্যাং জুন বলেন, উদ্বিগ্ন সব পক্ষকে অবশ্যই ধৈর্য্যের চর্চা করতে হবে এবং উত্তেজনায় বাড়াতে পারে এমন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে হবে। কূটনৈতিক সমাধানের জন্য সব উদ্যোগকে বেইজিং স্বাগত জানাবে এবং উৎসাহ যোগাবে। তবে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিয় গুতেরা মনে করেন, ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলকে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়ে দেশটির স্বার্বভৌমত্ব বিনষ্ট করেছে রাশিয়া। এছাড়া ভ্লাদিমির পুতিনের এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের রাজনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক প্রধান রোসম্যারি ডি-কার্লো।