বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজশাহী নগরীর ভুবন মোহন পার্ক শহীদ মিনার চত্বরে মহানগর ও জেলা বিএনপি আয়োজিত গণঅবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নাকি আওয়ামী লীগের প্রায় ১০ লাখ লোক মারা যাবে। এ ধরনের মিথ্যাচার বিদেশী কূটনীতিকদের কাছে করা হয়। এর অর্থ হচ্ছে আসলে আওয়ামী লীগ দেশের মানুষকে ভয় পায়। কারণ এ সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের মানুষকে না খাইয়ে রাখে। দেশে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়। বর্তমানেও সেই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সব প্রকার জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় এখন প্রতিটি পণ্যেরই দাম আকাশচুম্বী। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে সব ধরনের পণ্য। দেশের টাকা পাচার করায় অর্থনৈতিকভাবে দেশ পঙ্গু হয়ে পড়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ একটি তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন শুরু করেছিল। ওই সময়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের রাস্তায় সাপের মতো করে পিটিয়ে হত্যা করেছিল। কিন্তু ওই সময়েও বাংলাদেশের সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। কিন্তু বিএনপি জনগণের কথা ভেবে সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছে। আর এখন বলছে এটা সংবিধানে নেই। ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বিএনপি যা বলে তাই করে। এ দল কখনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে না। বিএনপি একটি মার্জিত ও সুসংগঠিত দল। তাই জনগণকে বিভ্রান্ত করে আর লাভ হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে আর কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। গণঅবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহজাহান মিয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ লতিফ খান। সমন্বয়ক ছিলেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে অবৈধ আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবী সহ ১০ দফা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে এ গণঅবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুনের সঞ্চালনায় গণঅবস্থান কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শামসুজ্জোহা খান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত ও এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম খান টিপু, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক আসিফা আশরাফী পাপিয়া, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, ও সাবেক এমপি জাহান পান্না প্রমুখ।