কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন ও তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। পরে লাইন থেকে বগিগুলো সরালে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর গচিহাটা স্টেশনে ‘কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ইঞ্জিন ও তিনটি বগি লাইনচ্যুতির ১৫ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে কিশোরগঞ্জের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। আজ রবিবার সকাল ৭টায় উদ্ধার কাজ শেষ হলে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে ঈশ্বরদী ও আখাউড়া থেকে দুটি উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
পরে আজ সকাল ৭টায় উদ্ধার কাজ শেষ হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মিজানুর রহমান আরও জানান, দীর্ঘ সময় রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকায় ময়মনসিংহের উদ্দেশে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে ইঞ্জিন ঘুরিয়ে রাতেই চট্টগ্রামের দিকে যাত্রা করে। আর এগারসিন্দুর প্রভাতি ট্রেনটি ঢাকা থেকে এসে কটিয়াদি উপজেলার মানিকখালী স্টেশন রাতে যাত্রা বিরতি করে। সকালে সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
এ ছাড়া দুর্ঘটনা কবলিত কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটিও আজ বিকেল চারটায় কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। বর্তমানে ট্রেনটি কিশোরগঞ্জ স্টেশনে অবস্থান করছে।
এর আগে শনিবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ঢাকাগামী কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করে গচিহাটা স্টেশনের দিকে যেতে থাকে। এ সময় ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে অবস্থান করছিল।
বিষয়টি নজরে এলে চালক দ্রুত ব্রেক করেন। এতে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ও তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ সময় কয়েকজন যাত্রী আহত হন।