ইসলামসম্মত উপায়ে বিয়ে হয়নি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির। এ জন্য তাদের প্রত্যেককে ৭ বছর করে জেল দিয়েছে আদালত। আজ শনিবার আদিয়ালা জেলের ভিতর স্থাপিত সিভিল আদালতের বিচারক কুদ্রাতুল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। জেল দেয়ার পাশাপাশি তাদের প্রতিজনকে ৫ লাখ রুপি করে জরিমানা করেছে আদালত। রায় ঘোষণার সময় আদালতকক্ষে উপস্থিত ছিলেন ইমরান ও বুশরাবিবি। এর আগেরদিন এই জেলখানার ভিতরে একদিনে ১৪ ঘন্টা শুনানি হয়েছে। শুক্রবার আদালত শুনানি সম্পন্ন করে রায় রিজার্ভ রাখে। বুশরা বিবির সাবেক স্বামী খাওয়ার মানেকার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত শনিবার এ রায় ঘোষণা করেন। আবেদনে খাওয়ার মানেকার দাবি করেন ইমরান খানের সঙ্গে বুশরা বিবির বিয়ে অনৈসলামিক ও বেআইনি। এ মামলায় চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
৩৪২ ধারার অধীনে বক্তব্য রেকর্ড করা হয় ইমরান ও বুশরা বিবির। বর্তমানে বুশরা বিবি অবস্থান করছেন বানিগালায়। সেটাকে সাবজেল ঘোষণা করা হয়। তাকে চূড়ান্ত শুনানির জন্য আদিয়ালা জেলে নেয়া হয়। তারপর ইমরান খান, বুশরা বিবি ও তাদের আইনজীবিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়। এর একদিন আগে বাদির আইনজীবি রাজা রিজওয়ান আব্বাসি, ইমরান খানের আইনজীবি সালমান আকরাম রাজা ও বুশরা বিবির আইনজীবি উসমান গুলোর চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক শোনেন আদালত।
মামলায় খাওয়ার মানেকা বলেছেন, ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিয়ে একটি প্রতারণা। কারণ, তাদের বিচ্ছেদের পর ‘ইদ্দত’ চলাকালীন এই বিয়ে হয়েছে। ইদ্দত পিরিয়ড শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিকাহ বা বিয়ে আইনগতভাবে বা ইসলামে বৈধ নয়। তিনি আরও দাবি করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শেষ করে দিয়েছেন খাওয়ার মানেকার জীবন। এর প্রেক্ষিতে বিবাদি নম্বর ১ (ইমরান খান) ও ২ (বুশরা বিবি)কে তলব করে আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তি দেয়ার আহ্বান জানান।