স্কটল্যান্ডের পেইসলি এলাকার বাসিন্দা বছর একুশের জেরাল্ড গ্রিন। হঠাৎ করেই একদিন তার পিঠে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। জেরাল্ড ভেবেছিলেন নতুন বিছানা কিনলে হয়তো এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। একদিন হঠাৎ করেই জেরাল্ডের বমি হয় এবং কফের সঙ্গে রক্ত ওঠে। সঙ্গে-সঙ্গে ছেলেকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে ছুটে যান মা। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ডাক্তার জানান জেরাল্ডের অ্যানিমিয়া হয়েছে। জেরাল্ডের অ্যানিমিয়ার পর কিডনিতে সমস্যা ধরা পড়ে। তড়িঘড়ি জেরাল্ডের কিডনিতে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু, অপারেশন টেবিলেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় জেরাল্ডের। তারপর তিনি কোমায় চলে যান।
প্রায় এক সপ্তাহ কোমায় ছিলেন জেরাল্ড। তারপর চিকিৎসকদের চেষ্টায় জেরাল্ড কোমা থেকেও বেরিয়ে আসেন।
এরপর তাঁর নানান শারীরিক পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা জানতে পারেন, সাধারণ কোনও অসুখ নয়, মারণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত জেরাল্ড। এই রিপোর্ট হাতে আসার কয়েকদিন পরই ৩০ জানুয়ারি রয়্যাল আলেকজান্দ্রা হাসপাতালে মৃত্যু হয় জেরাল্ডের। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন জেরাল্ড। হঠাৎ করে পিঠে ব্যথা থেকে কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁর অকাল-মৃত্যুর ঘটনায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। তার শোকাহত বাবা-মা এখন তরুণদের যেকোনো শারীরিক উপসর্গকে গুরুত্ব সহকারে নিতে অনুরোধ করছেন।
বুকে একরাশ বেদনা নিয়ে তরুণের পরিবার জানাচ্ছেন -“জেরাল্ডের জন্য তারা কিছুই করতে পারেনি এবং রোগটি ইতিমধ্যে তার হাড় এবং রক্তে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে”। বিধ্বস্ত বাবা-মা এখন ছেলের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে নেমেছেন। জেরাল্ড একজন মহান ফুটবলার ছিলেন এবং স্কুলে সবাই তাকে খুব ভালোবাসতো। কিন্তু শারীরিক সমস্যার জন্য শেষপর্যন্ত তাকে খেলা ছেড়ে দিতে হয়। কখনোই জীবনকে খুব বেশি গুরুত্বের সাথে নেয়নি জেরাল্ড। সেটাই তার শরীরে মরণব্যাধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অকালেই চলে যেতে হয় নম্র এবং দয়ালু এই কিশোরকে।