অস্ত্রোপচারের সময় রোগীকে অচেতন করার জন্য ব্যবহৃত হ্যালোথেন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এখন থেকে হ্যালোথেনের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন বা সেভোফ্লুরেন ব্যবহার করতে বলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গতকাল বুধবার মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব জসীম উদ্দীন হায়দারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সারাদেশের হাসপাতালে অ্যানেসথেসিয়াজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং অ্যানেসথেসিয়া ব্যবহারে ওষুধের গুণগতমান নিশ্চিতকরণের বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপনে এই নতুন নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
অস্ত্রপোচারের সময় রোগীকে পুরোপুরি অচেতন করার জন্য এতদিন দেশে তুলনামূলক কম দামের হ্যালোথেন অ্যানেসথেসিয়া ব্যবহার করা হতো। তবে শারীরিক ও পরিবেশগত ক্ষতির দিক বিবেচনা করে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) গত বছরই হ্যালোথেন নিষিদ্ধ করে দেয়। তখন বাংলাদেশেও এ ওষুধের উৎপাদন বন্ধ করে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসিআই ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড।
১. সারাদেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে ইনহেলেশনাল অ্যানেসথেটিক হিসেবে হ্যালোথেনের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন ও সেভোফ্লুরেন ব্যবহার করতে হবে।
২. মোট হ্যালোথেন/আইসোফ্লুরেন ও সেভোফ্লুরেন ভেপোরাইজারের সংখ্যা এবং বিদ্যমান হ্যালোথেন ভেপোরাইজার পরিবর্তন করে আইসোফ্লুরেন ও সেভোক্রুরেন ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের প্রাক্কলন করতে হবে।
৩. ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন ব্যতীত হ্যালোথেন ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবহার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. সারাদেশের সব অ্যানেসথেসিওলজিস্টদের (সরকারি/বেসরকারি) নিয়ে হ্যালোথেনের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন ব্যবহারসংক্রান্ত নির্দেশনা প্রতিপালনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫. সব সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে থেকে বিদ্যমান হ্যালোথেন ভেপোরাইজারের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপনের জন্য চাহিদামোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে।
৬. নতুন অ্যানেসথেসিয়া মেশিন কেনার ক্ষেত্রে স্পেসিফিকেশন নির্ধারণে স্পষ্টভাবে আইসোফ্লুরেন ও সেভোফ্লুরেন ভেপোরাইজারের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।