তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান দাবি করেছেন, ‘সন্ত্রাসী’ ইসরাইল সরকার গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে পরাজিত করতে পারলে এরপর তুরস্কের দিকে ‘নজর দেবে’ এবং শেষ পর্যন্ত তার দেশে হামলা চালাবে।
তিনি বুধবার রাজধানী আঙ্কারায় একটি সংসদীয় দলের সঙ্গে বৈঠকে এ আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। এরদোগান সতর্ক করে দিয়ে বলেন, দখলদার সরকার ফিলিস্তিনের এই অবরুদ্ধ উপত্যকায় থেমে থাকবে না বরং তুরস্ক হবে তার পরবর্তী টার্গেট।
গত কয়েক মাস ধরে গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলের গণহত্যামূলক যুদ্ধের কঠোর সমালোচনা করে আসছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তিনি তার দলের সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা একথা মনে করবেন না যে ইসরাইল গাজায় থেমে থাকবে। এটিকে থামিয়ে না দেয়া হলে এই সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্ত সরকার আজ হোক অথবা কাল আনাতোলিয়ার দিকে নজর দেবে।”
আনাতোলিয়া বোঝাতে এরদোগান বৃহত্তর তুর্কি উপত্যকাকে বোঝাতে চেয়েছেন যেটিকে ‘এশিয়া মাইনর’ বলা হয় যা তুরস্কের অর্ধেকেরও বেশি ভূখণ্ড নিয়ে গঠিত। রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেন, “আমরা হামাসকে সমর্থন করে যাব। কারণ, তারা তাদের মাতৃভূমির মুক্তির জন্য লড়াই করছে এবং তারা আনাতোলিয়াকেও রক্ষা করছে।”
গত বছরের অক্টোবর মাসে ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকার ওপর ভয়াবহ গণহত্যা শুরু করার পর থেকে আঙ্কারার সঙ্গে তেল আবিবের সম্পর্কের দৃশ্যত অবনতি হয় যদিও ইসরাইলের সঙ্গে এখন পর্যন্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে তুরস্ক।