• বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সাভারের আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নীলফামারীর ডোমারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ, বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে সংশ্লিষ্টরা কমিটিতে স্থান পাবে -জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ । সাগর-রুনি হত্যা মামলা সরকারের অগ্রাধিকার মামলার শীর্ষে : পরিবেশ উপদেষ্টা আদালত, প্রসিকিউশন, প্রশাসন ও পুলিশের সমন্বয়ে কাজ করলে জনগণ ন্যায়বিচার পাবে : আইন উপদেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এবং সংস্কারে মার্কিন অব্যাহত সহায়তা কামনা প্রধান উপদেষ্টার শেখ হাসিনা দেশ অস্থিতিশীল করলে দায় ভারতের : মামুনুল হক সাবেক এমপি মজিদ খান গ্রেপ্তার মানবাধিকার লঙ্ঘন কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না: প্রধান উপদেষ্টা সাঈদ খোকন পরিবারের ৭৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

চট্টগ্রাম পানি পতেঙ্গা ও মুরাদপুরে চকবাজার বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা

 মোঃরিয়াজ চট্টগ্রামঃ / ৮৬ Time View
Update : সোমবার, ২৭ মে, ২০২৪
সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে চট্টগ্রামে ভারি বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে ডুবেছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা। সোমবার ভোর থেকে পানি উঠতে শুরু করে। দুপুর পর্যন্ত নগরীর বেশ কিছু এলাকা তলিয়ে গেছে। এদিকে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল। এমন অবস্থা আরো দুয়েক দিন চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সোমবার রাত থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। রাত বাড়ার সঙ্গে বাড়তে থাকে বৃষ্টির পরিমাণও।

সকালে অতি ভারি বর্ষণ হয়। আগে থেকেই সমুদ্রে জোয়ারের পানি কর্নফুলী নদীসহ বিভিন্ন খালে ঢুকে পড়েছিল, প্রায় একইসঙ্গে প্রবল বৃষ্টিতে পানি জমে যায়, কিন্তু তা আর নালা-খাল দিয়ে কর্নফুলী নদীতে নামতে পারেনি। বরং অনেক জায়গা দিয়ে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। জোয়ারের পানি আর বৃষ্টির পানিতে মোটামুটি একাকার। ফলে এই পানির জট কমতে সময় লাগবে স্বাভাবিক ভাবেই। সেইসঙ্গে থেমে থেমে দমকা হাওয়ায়ও সাধারণ জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে! চট্টগ্রামে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, সোমবার সকাল নয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২০৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই অফিসের আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তা এইচ এম মোসাদ্দেক জানিয়েছেন- রাতে যখন রেমাল উপকূল অতিক্রম করছিল তখন ভাটা ছিল। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এই তিন ঘণ্টায় ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এখনো ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে রাতে বৃষ্টি শুরুর পর মধ্যরাতে নগরীর পতেঙ্গা সহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এরপর সকাল থেকে নগরীর প্রবর্তক মোড়, চকবাজার, ডিসি রোড, দুই নম্বর গেটসহ বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যায়। সোমবার দুপুর পর্যন্ত নগরীর বহদ্দারহাট মোড়, মুরাদপুর, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, কাপাসগোলা, বাকলিয়া মিয়া খান নগর এলাকা,হালিশহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে নগরীর প্রবর্তক মোড়ে সব থেকে বেশি কোমর সমান পানি ঠেলে রিকশা ও হেঁটে পথচারীদের চলাচল করতে দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিস-আদালত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানমুখী লোকজন। সকালে রাস্তায় বেরিয়ে তারা দেখেন গোড়ালি থেকে কোমর সমান পানিতে সড়ক ডুবে গেছে। নগরীর বন্দর এলাকার বাসিন্দা বললেন, সকালে কাজে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বেরিয়ে দেখি আমাদের এলাকায় পানি। অনেক কষ্টে তা পেরিয়ে ইপিজেড মোড়ে আসি। সেখান থেকে মুরাদপুর এলাকাতে যেতেই রাস্তা ডুবেছে বৃষ্টির পানি আর পানি। রিকশায় আর হেঁটে অনেক কষ্টে দুই ঘণ্টায় কোন রকমে ওয়াসার মোড়ে অফিসে পৌঁছেছি। নগরীর মুরাদপুর এলাকার বাসিন্দা সহিদ জুবায়ের বলেন, সকালে বাসা থেকে বের হতে গিয়ে দেখি রাস্তা পানির নিচে। ফলে বাসা থেকে আর বের হতে পারিনি। নগরীর প্রবর্তক মোড় এলাকায়ও দেখা যায় কোমর সমান পানি ঠেলে রিকশা টানতে দেখা গেছে রিক্সাচালককে। রিক্সাযাত্রীরা কেউ কেউ পাসহ সিটের ওপর উঠেও পানিতে ভেজা থেকে রক্ষা পাননি। আবার অনেক পথচারী আইল্যান্ডের উপর দিয়ে হেঁটে মোড় অতিক্রমের চেষ্টা করছেন। সেই আইল্যান্ডও ডুবে আছে পানিতে। মোড় লাগোয়া খাল উপচে পানি বয়ে যাচ্ছে সড়কের উপর দিয়ে। চসিক’ র পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, নগরীর বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে গেছে। মোহাম্মদপুর, নাজিরপাড়া, বিবিরহাট, জিইসি, ষোলশহর ২ নম্বর গেইট, শুলকবহর, চকবাজার, চান্দগাঁও এবং বাকলিয়া এলাকায় জলাবদ্ধতা হয়েছে। আগ্রাবাদ, বন্দর ও পতেঙ্গা এলাকার পরিস্থিতি অনেকটাই খারাপ অবস্থা। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল এলাকায় কোমর পর্যন্ত উঠে গেছে পানি আর পতেঙ্গায় মাইজপাড়া, খেজুর তলা, চরপাড়া,কাঠগড় জেলে পাড়া এবং ইপিজেডের দক্ষিণ হালিশহররে নিচু এলাকা ও আকমল আলী রোডস্থ জেলে পাড়ায় প্রবল বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা‌ দুলাল ।পূর্ণিমা গেছে মাত্র কয়েকদিন আগে। এখন সাগরে ভরা কাটাল। আর নদীতে জোয়ারের উচ্চতা বেশি। এসময়ই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। অতিবৃষ্টি হচ্ছে। ভারি বর্ষণে ড্রেন উপচে পানি সড়কের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে জানিয়ে মোবারক আলী বলেন, “যেমন মুরাদপুর এলাকায় কিন্তু ড্রেনে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। নালা ভরে পানি সড়কের উপর দিয়ে যাচ্ছে। ধারণক্ষমতার বেশি বৃষ্টি হওয়াতে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে অন্যদিকে অতি ভারি বৃষ্টিতে পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কায় নগরীর বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারী বাসিন্দাদের রবিবার রাত থেকে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা