হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ মোট ৯ আরোহীর মৃত্যুর পর ইরানে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে। শোক কাটিয়ে সেদিকেই এখন দৃষ্টি সবার। দেশকে পরিচালিত করতে হলে একজন নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে দুর্ঘটনার ৫০ দিনের মধ্যে। বর্তমানে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবের। আগামী ২৮শে জুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে মোহাম্মদ মোখবের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরান খুবই রক্ষণশীল দেশ। সেখানে সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির প্রতি অনুগত এমন একজন নেতা খোঁজা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী বা প্রার্থীদের আবেদন অনুমোদিত হতে হবে গার্ডিয়ান কাউন্সিলে। এটি রক্ষণশীল প্রধান একটি প্রতিষ্ঠান।
গত ১৯শে মে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন প্রেসিডেন্ট রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ মোট ৯ আরোহী। এ ঘটনায় ইরানে ৫ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়। জাতীয় পতাকা রাখা হয় অর্ধনমিত। নিহতদের যথাযোগ্য মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর অস্থির এক সময়ে জুনে হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এটা এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা বহালের ফলে তা আরও প্রকট হয়েছে। তবে রাষ্ট্রের সব বিষয়ে শেষ কথা বলার ক্ষমতা রাখেন সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি মোহাম্মদ মোখবেরকে অন্তর্বর্তী দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এই প্রেসিডেন্টই নতুন নির্বাচন আয়োজন করছেন।
মিডিয়ার রিপোর্ট বলছে, নির্বাচনে মোহাম্মদ মোখবের নিজেই প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন। আরও নাম শোনা যাচ্ছে পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ এবং সাবেক প্রথম সারির কিছু কর্মকর্তার নাম। এর মধ্যে আছেন পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে এর আগে মধ্যস্থতাকারী সাঈদ জলিলি। আছেন, উদারপন্থি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ, মধ্যপন্থি ও সাবেক স্পিকার আলি লারিজানি। অন্যদিকে ভোটারদেরকে অনুমানের মধ্যে রেখেছেন জনপ্রিয় ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। নির্বাচন করবেন কিনা সেজন্য তিনি পরিবেশ পরিস্থিতি যাচাই করছেন। তিনি বলেছেন, দেশের ইতিবাচক উন্নয়নের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আমাদের।