সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকারকে নিয়ে কথা বলতে আর ইচ্ছা করে না। ওদের চামড়া মোটা হয়ে গেছে। তাদের লক্ষ্য একটাই– লুট করো। আজকে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের কথা বলা হচ্ছে। এই আজিজ কার সৃষ্টি, কাদের সৃষ্টি? সাবেক আইজিপি প্রধান বেনজীর আহমেদের হাজার হাজার অপকর্ম লুটের ইতিহাস বেরোচ্ছে। শুধু একটা-দুইটা নয়, এ রকম অসংখ্য ঘটনা আছে। চতুর্দিকে তাকিয়ে দেখবেন, তাদের দুর্নীতি ছাড়া আর কিছু নেই।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের ভূমিকা এবং তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তাঁর অনন্য অবদান’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরা পচে গেছে। দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে গেছে। যতই মুখে কথা বলুক, যা-ই কথা বলুক, আসলে এদের কোনো অস্তিত্ব নেই। তার প্রমাণ সব জায়গায়; এক এক করে হচ্ছে। এখানে কথা বলাও বিপদ, চলাও বিপদ। এখানে আন্দোলন করাও বিপদ। তার মধ্যেই এই বিপদ কাটিয়ে সাহস করে রুখে দাঁড়াতে হবে। ন্যায্য যে দাবি, সেই দাবিটা আদায় করতে হবে। অন্য কোনো কিছু চাই না, একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। তার জন্য আন্দোলন চলমান। এই আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।
নির্বাচনের আগে দল ভাঙার ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, এত নিপীড়ন-নির্যাতন, মামলা-মোকদ্দমা দলের কাউকে টানতে পারিনি। একটা-দুইটা থাকে সব সময়। ওই শাহজাহান ওমর ছাড়া আর খুঁজে পাবেন না। সুতরাং আমাদের হারানোর কিছু নেই। খালেদা জিয়া– যিনি লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে, কিন্তু আপস করেননি, মাথানত করেননি। আমাদের প্রধান দায়িত্ব তাঁকে মুক্ত করা, দেশকে মুক্ত করা, দেশমাতৃকাকে মুক্ত করা। আসুন, আমরা সেদিকে এগিয়ে যাই।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সিনিয়র সহসভাপতি নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় আলোচনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফজলুর রহমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ বক্তব্য দেন।