আগামী বছরের শুরুতেই পাকিস্তানে বসতে যাচ্ছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর। আসরে অংশ নিতে ভারতীয় দলের পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার ব্যাপারে একটা শঙ্কা ছিলই। সেটাই সত্যি হওয়ার পথে। বোর্ডের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবামাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আইসিসির কাছে বিসিসিআই সরকারিভাবে জানাবে যাতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দুবাই অথবা শ্রীলঙ্কায় হয়।
ভারতীয় দলের কাছে এই প্রতিযোগিতার যথেষ্টই গুরুত্ব রয়েছে কারণ ২০১৩ সালের পর থেকে এই ট্রফি আর হাতে ওঠেনি তাদের। ২০১৭ সালে ফাইনালে উঠলেও হারতে হয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে। তবে এশিয়া কাপের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়েও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকছে ভারত।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ রয়েছে। পাকিস্তানে কোনও ম্যাচ খেলতে যায় না ভারতীয় দল। শুধু ক্রিকেট নয়, অন্য খেলাতেও অনেক দলই পাঠায় না কেন্দ্র। আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছেন বটে কিন্তু পাকিস্তান নিয়ে তাঁর মনোভাব রয়েছে আগের মতোই। ভারত সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, যতদিন না সীমান্তে জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ করবে পাকিস্তান, ততদিন সেদেশের সঙ্গে ক্রিকেট খেলা সম্ভব নয়।
গত বছর এশিয়া কাপেও পাকিস্তানে যায়নি ভারত, ফলে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের ম্যাচ অন্য ভেনুতে করেছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। এবার আইসিসির কাছেও একইরকম আবেদন জানাতে চলেছে বিসিসিআই। সেক্ষেত্রে দুবাই বা শ্রীলঙ্কায় ম্যাচ খেলতে রাজি তাঁরা।
ভারত যদি পাকিস্তানে যেতে না চায়, সেক্ষেত্রে বাধ্য হয়েই আইসিসিকে ম্যাচের ভেনু বদলাতে হবে। সেক্ষেত্রে সমস্যা হবে পাকিস্তানের, কারণ ভারতের সঙ্গে গ্রুপে যে দলগুলো থাকবে তাঁদের ম্যাচও সেক্ষেত্রে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে পাকিস্তান থেকে।
বিশ্বক্রিকেট তথা আইসিসিতে ভারতীয় বোর্ডের যে প্রভাব তাতে পাকিস্তানের পক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সেদেশে আয়োজনের দায়িত্ব ধরে রাখা বেশ চ্যালেঞ্জর মুখে পড়েছে বলাই যায়।