চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন চলমান এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৪ এর ১১ জুলাই, বৃহস্পতিবার ছিল বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থ বিজ্ঞান প্রথম পত্রের পরীক্ষা। প্রায় ৪০০ জন পরীক্ষার্থী যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন কেন্দ্রে। কিন্তু সকাল ১০ টায় পরীক্ষার প্রশ্ন হাতে পেয়ে পরীক্ষার্থীরা দেখতে পান পদার্থ বিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন বিলি করা হয়েছে তাদের।
ঘটনাটি ঘটেছে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারীতে বিজয় স্মরনী কলেজ কেন্দ্রে, পরীক্ষার্থীরা বিষয়টি কেন্দ্র পর্যবেক্ষকদের নজরে আনলে, কিংকর্তব্যবিমুঢ় কেন্দ্র পর্যবেক্ষক গণ প্রশ্ন ফিরিয়ে নিয়ে পরীক্ষা স্থগিত করেন। এতে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় প্রায় দুই ঘন্টা সময় কেটে যায় পরীক্ষার্থীদের।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকায় অবস্থানরত চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর রেজাউল করিম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, পরীক্ষার প্রশ্ন বিতরণের দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের, আর দেখেশুনে প্রতিদিন সকালে প্রশ্ন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্র সচিবের।
তিনি বলেন, কেন্দ্র সচিব ও জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অবহেলা, অদক্ষতা ও অসতর্কতার কারণে বিজয় স্মরনী কলেজ কেন্দ্রে পদার্থ বিজ্ঞান ১ম পত্রের পরিবর্তে ২য় পত্রের প্রশ্ন চলে গেছে। বিষয়টি জানতে পেরে তড়িৎ ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে তবে প্রশ্ন পরিবর্তন করে পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সময় সমন্বয় করে আজকেই পরীক্ষা নেয়া হবে।
পদার্থ বিজ্ঞান ২য় পত্রের যে প্রশ্ন ভুলে কেন্দ্রে পৌছে গেছে সেই প্রশ্ন দিয়ে আর পরীক্ষা হবে না বলে জানিয়ে প্রফেসর রেজাউল করিম জানান, বিকল্প প্রশ্নে পদার্থ বিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা রুটিন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে তিনি আরও জানান এমন ভুল কীভাবে হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, দুপুর ১২ টা পর্যন্ত পরীক্ষা শুরু হয় নি বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কেন্দ্র পর্যবেক্ষক।
এ বিষয়ে জানতে, কেন্দ্রের সচিব, বিজয় স্মরনী কলেজের অধ্যক্ষ শিব সঙ্কর শীলকে তার মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় জানার পর ‘ব্যাস্ত আছি’ বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এই প্রতিবেদকের কাছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই জন শিক্ষক জানিয়েছেন বর্তমান অধ্যক্ষের দুর্নীতি অদক্ষতা অযোগ্যতা এই স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় কলেজটিকে একটা মান মর্যদাহীন ক্যাম্পাসে পরিনত করেছে ফলে এরই মধ্যে কলেজে শিক্ষার্থী উপস্থিতির সংখ্যা অর্ধেকেরও কমে নেমে এসেছে।