সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যা প্রচেষ্টায় মার্কিন রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় পেনসিলভ্যানিয়ার বাটলারে ট্রাম্পের নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতাকালে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এক আততায়ী। এতে ট্রাম্প তার কানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। এফবিআই বলছে হামলাকারীকে হত্যা করেছে পুলিশ।
এছাড়া ওই ঘটনায় এক দর্শক নিহত হয়েছেন বলেও খবর দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সমাবেশে উপস্থিত ট্রাম্পের দুই সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে স্থানীয় সিক্রেট সার্ভিস সদস্যরা। বিশ্লেষকরা মনে করছেন ট্রাম্পের ওপর এই হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এই হামলার ঘটনা বৈশ্বিক রাজনীতিতে মার্কিন মুল্লুককে নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করতে পারে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন।
এতে বলা হয়, ট্রাম্পকে হত্যা প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমেরিকার রাজনৈতিক সহিংসতার অভিশপ্ত গল্পের নতুন আরেকটি কালো অধ্যায়ের সূচনা হল। যুক্তরাষ্ট্রের আধুনিক ইতিহাসে সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনার সূচনা হচ্ছে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্টের ওপর এই হামলার ঘটনা। দেশটিতে আগামী ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে নির্বাচনী প্রচারণায় রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে লক্ষ্যবস্তু করায় দেশটির গণতন্ত্রের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, নির্বাচনী সমাবেশের মঞ্চে বক্তৃতা করছিলেন ট্রাম্প। বক্তৃতা শুরু করার কিছুক্ষণ পরেই এক সাথে কয়েকটি গুলির আওয়াজ শোনা যায়। ওই আওয়াজের পরপরই ট্রাম্পকে কানে হাত দিয়ে বসে পড়তে দেখা যায়। এসময় মঞ্চের সামনে উপস্থিত সমর্থকদের ভয়ার্ত চিৎকারের আওয়াজ শোনা যায়। প্রচারণার সময় এভাবে হামলার ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। যাতে দেশটির নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
এই হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ট্রাম্প। গুলির আওয়ারজের পরপরই ট্রাম্পকে সেখান থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। ট্রাম্প বলেছেন আততায়ীর ছোড়া একটি বুলেট তার কানে আঘাত করেছে। যাতে তার রক্তক্ষরণ হয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জানিয়েছে ওই হামলাকারী ২০ বছর বয়সী এক যুবক। তার নাম ম্যাথিউ ক্রুকস।
কানে গুলি লাগার পর যখন ট্রাম্পকে সেখান থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হচ্ছিল তখন ট্রাম্পের পিছনে একটি মার্কিন পতাকা উড়তে দেখা যায়। এ অবস্থায় তাৎক্ষণিকভাবে একটি ছবি তোলেন বার্তা সংস্থা এপির সাংবাদিক। সিএনএন এই ছবিটিকে একটি আইকনিক ছবি হিসেবে অভিহিত করেছে। গণমাধ্যমটি বলছে, ছবিতে যে চিত্র ফুটে উঠেছে তার মধ্য দিয়ে মার্কিন ইতিহাসে একটি রৌদ্রোজ্জ্বল বিকেলের রাজনৈতিক অজানা পথের গল্প শুরু হয়েছে। যা একটি দুঃস্বপ্নের জন্ম দিয়েছে।