দেশ ভয়াবহ দানবের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে বলে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে। তারা আজকে উপযুক্ত সময়ে পদক্ষেপ নিয়েছেন।’
সেনাবাহিনীর পদক্ষেপে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সব রাজনৈতিক দল ও আন্দোলনের মূল ছাত্র নেতাদের আলোচনার জন্য গণভবনে আনা হয়েছে।
আলোচনায় কয়েকটি মৌলিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এর প্রথমটি হচ্ছে সংসদ ভেঙে দিয়ে অতি দ্রুত একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে নির্দলীয় ব্যক্তিদের নিয়ে। এ ছাড়া দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে যে সব নেতাকর্মী এবং ছাত্রনেতা, যাঁদের অন্যায়ভাবে গত ১ জুলাই থেকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, তাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সরকার গঠন করার সম্ভাবনা আছে। এই সরকারটা হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর চরিত্র হবে নির্দলীয় সরকার। আমরা এটা প্রস্তাব দিয়েছি। তারা তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।’
সরকারের প্রধান কবে নির্বাচন করা হবে, প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই নিয়ে আলোচনা হয়নি। মূল বিষয় হচ্ছে যে আলোচনা করা দরকার। আমরা তো দলের সঙ্গে বসতে পারিনি। আমরা দলের সঙ্গে বসে প্রস্তাব নিয়ে আসব। অন্য দলগুলোও প্রস্তাব নিয়ে আসবে। তখন নির্ধারণ করা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব জানান, রাষ্ট্রপতি আজকে জাতির উদ্দেশে ভাষণে সব কিছু জানাবেন।
সব শেষে মির্জা ফখরুল লন্ডনে নির্বাসিত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘তাঁকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিদেশে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। তারেক রহমান প্রতি মুহূর্তে এই আন্দোলনে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁকেও অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি, ইনশাআল্লাহ এ ব্যাপারেও আমরা সফল হব।’