বাংলাদেশে ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে প্রায় প্রতিদিনই কলকাতায় বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন।
এরই মধ্যে গত ২ ডিসেম্বর ত্রিপুরায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের ওপর হামলার খবর আসে। যেখানে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের অফিসের ভিতরে প্রবেশ করে সেখানে ভাঙচুর চালায়, এমনকি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পোড়ানো হয়। তারপরই পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বেকবাগানে অবস্থিত বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিল কলকাতা পুলিশ।
সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
সাধারণত বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের ৪টি বুথে তিনজন করে মোট ১২ জন পুলিশ মোতায়েন থাকেন। সেই জায়গায় এখন থেকে একজন এসির পাশাপাশি দুজন ইন্সপেক্টর, ১২ জন অফিসার এবং ৩০ জন পুলিশ কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছে। হাইকমিশনের আশেপাশের সিসিটিভির সংখ্যা ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২২টি করা হয়েছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের অফিসের কাছে টহল ভ্যানও মোতায়েন করা হয়েছে। আরও নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত গার্ড রেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। উপ হাইকমিশনের আশপাশে যাতে কোনও রকমের বিক্ষোভ না হয় সে বিষয়ে স্থানীয় থানার পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া গোয়েন্দাদের আরও সক্রিয় হতে বলা হয়েছে।
কলকাতা পুলিশের প্রধান কার্যালয় লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনওরকম ভাবে যাতে শান্তি ব্যাহত না হয় তার জন্য নিউমার্কেট, পার্ক স্ট্রিট এবং মুকুন্দপুরের (যে সমস্ত এলাকায় বাংলাদেশি পর্যটক বেশি দেখা যায়) মতো এলাকায় সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সোশ্যাল মাধ্যমে যাতে কোনও গুজব না ছড়ায় তা নিয়েও সাইবার সেলকে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে এক সাইবার বিশেষজ্ঞ জানান, গত তিনদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশ নিয়ে একাধিক ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পরিস্থিতির প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার উপ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করে বিজেপি সমর্থিত একাধিক হিন্দু সংগঠন। সেই সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তখনই বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটে মাথা ফেটে যায় পুলিশ অফিসারের।