আবদুল হামিদ আরো জানান, বৃহস্পতিবার স্বামী মেহেদী তাদের (শ্বশুর) বাড়িতে আসে। শুক্রবার সকালে তুহিকে স্বামী শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে তারা বাধা দেন।
তখন জামাতাকে জানিয়ে দেওয়া হয় অভিভাবক এবং আত্মীয়-স্বজনরা আসলে তাদের সঙ্গে কথা বলেই মেয়েকে পাঠানো হবে। এতে রেগে গিয়ে জামাতা মেহেদী বাড়ি থেকে বের হয়ে যান।
আবদুল হামিদ বলেন, এরই মধ্যে জুমার নামাজের সময় ঘনিয়ে আসলে তিনি মসজিদে চলে যান। এ সুযোগ জামাতা বাড়িতে ঢুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে মেয়েকে। এ সময় বাধা দিতে চাইলে শ্বাশুড়িকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাদের দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তুহিকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্ত্রী পারভীনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভুইয়া বলেন, ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত পারভীন আক্তারকে পাঠানো হয়েছে চমেক হাসপাতালে। ঘাতক বখাটে স্বামী মেহেদীকে বান্দরবানের লামার পাহাড়ি এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।