বগুড়ার কাহালু আড়োলা আবাসনের নুর ইসলাম (৪০) নামক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৬ বছর বয়সী ১ শিশুকে ধর্ষণ এবং একই বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে কাহালু থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত মোঃ নূর ইসলাম (৪০) বগুড়া কাহালু উপজেলার আড়োলা (আবাসন) এলাকার মৃত হবিবর রহমানের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় , গত বুধবার (১২ মার্চ) সকালে ভুক্তভোগীর মা মাঠে কাজে করতে যায়। ভুক্তভোগীর বোবা বড় ভাই রাজমিস্ত্রী কাজে বগুড়া চলে যায় এবং সকাল ৯ টায় তার বাবা দোকানের মালামাল কিনতে নামুজা বাজারে যায়। তখন ভুক্তভোগী ছোট মেয়ে এবং তার বোবা ভাতিজা বাড়ীতে ছিল। ভুক্তভোগীর মা আনুমানিক ১২টার সময় বাড়িতে এসে মেয়েকে মনমড়া অবস্থায় দেখতে পান এবং মনমড়ার কারন জিজ্ঞেস করলে তাৎক্ষণিক তাকে কিছু না বলায় তার শরীরে জ্বর বুঝতে পেয়ে ভুক্তভোগীকে নাপা ঔষধ খাওয়ায়ে দেয়।
পরের দিন বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ভুক্তভোগী ছোট মেয়ে একটু সুস্থ হলে তাকে আবারো তার মা কি হয়েছে জিজ্ঞেস করলে সে বলে, তোমরা যখন বাড়ীতে কেউ ছিলে না তখন নুরু ভাই আমাকে টাকার লোভ দেখিয়ে তার ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে আমার পড়নের পান্ট ও জামা খুলে ফেলে এবং আমার সাথে খারাপ কাজ করে। এবিষয়ে কাউকে কিছু বল্লে পায়খানায় ফেলে দিয়ে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।
ভুক্তভোগী মা বলেন, বিষয়টি জানার পরে আমি আমার স্বামীসহ আড়োলা আবাসনের আশেপাশের প্রতিবেশীকে বিষয়টি জানালে। নুরু আড়োলা আবাসনের আরেক ছোট্ট মেয়ের সাথে এমন খারাপ কাজ করার চেষ্টা করেছিলো জানতে পারি। তখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে আমাকে বলে, ‘নূরু তার এবং আমার মেয়েকে নুরুর ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে খারাপ কাজ করেছে।’ পরে আমরা থানায় বিষয়টি জানিয়ে একটি অভিযোগ করেছি।
কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাসান জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার সময় এক ব্যক্তি মোবাইলে আমাকে এ বিষয়টি জানালে আমি ঘটনস্থল পরিদর্শন করি। এবং স্থানীয়দের সাথে কথাবার্তা শেষে তাদেরকে থানায় আসতে বলি। তারা থানায় আসার পরে একটা অভিযোগ দেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মামলা রেকর্ড করি। তারপরে থেকে আমরা আসামীর গ্রেপ্তারের চেষ্টায় আছি।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে যে ভিকটিমের মা তিনি নিজেই একটা ধর্ষণের অভিযোগ দিয়েছেন। আরেকটা ভিকটিমের মা ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ করেছেন। দুইটি অভিযোগ আমরা নিয়েছি এবং তারই ধারাবাহিকতায় মামলার প্রস্তুতি নিয়েছি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ভিকটিমকে আমরা আজই দ্রুত শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাবো। আমরা আসামি গ্রেফতারের সর্বোচ্চ চেষ্টায চালাচ্ছি।