গত ৪ই জুন সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার বড়কাপন এলাকায় স্ত্রীকে খোজার নামে শশুরবাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলা চালায় মেয়ে জামাই। মৌলভীবাজার বড়কাপন এলাকায় স্ত্রী শেখ সোমা আক্তারকে খোজার নামে স্বামী মোঃপিপলু শশুরবাড়িতে পরিবারের সবাইকে আটক করে সন্ত্রাসী হামলা নগদ অর্থ লুটপাট করেন। ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায়, আমার মেয়ে শেখ সোমা আক্তারের সাথে মোঃ পিপলুর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর ও সে আমার মেয়েকে হত্যা করার জন্য বহুবার চেষ্টা করছে। আমার মেয়ে বিবাহের পর থেকে স্বামী ও তা পরিবারের সদস্যদের দ্বারা অনেক নির্যাতন ও লাঞ্চিত হয়েছে। মোঃ পিপলু আওয়ামী সরকারেন আমলে এলাকায় প্রচুর অবৈধ কাজকর্মে জড়িত ছিলো, বর্তমানে টাকার জোরে পুলিশ ও স্থানীয় বিএনপি নেতাদের জোরে এলাকায় প্রচুর অসহায় মানুষের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। স্থানীয়রা আরো জানান,মোঃপিপলু স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য হিসাবে প্রভাব ও আধিপত্য বজায় রাখার জন্য সাধারণ মানুষকে মারপিট, নির্যাতন, নিপিড়ন, চাঁদাবাজি, জমি দখল সহ ক্ষমতার অপব্যবহার ও ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতেন। ২৪শের স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী আন্দোলনে সাধারণ জনতা ও ছাত্র জনতার উপর হামলা করার অভিযোগও করেন স্থানীয়রা। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ পতনের পর মোঃপিপলু বিএনপিতে যোগ দিয়ে বিএনপি ছত্রছায়া স্ত্রীকে খোঁজার নাম করে তার শশুরবাড়িতে পরিবারের সবাইকে আটক করে সন্ত্রাসী হামলা, লুটপাট ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটান। এই ঘটনার বিষয় নিয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করলে থানায় পুলিশ সদস্য মোঃ পিপলুর বিরুদ্ধে কোন ধরনের অভিযোগ গ্রহন করতে অস্বীকার করেন। ২৪ এর জুলাই বিপ্লবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের পতন হলে কিছুদিন পলাতক অবস্থায় থেকে, বিএনপির ছত্রছায়ায় মোঃ পিপলু হয়ে ওঠেন বিএনপি’র দুর্ধর্ষ নেতা। এখন তিনি বিএনপির ছত্র ছায়ায় থেকে এলাকায় পুনরায় ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করছে।