ঢাকা–কিশোরগঞ্জ রুটের জনপ্রিয় যাত্রীবাহী ট্রেন এগারোসিন্দুর এক্সপ্রেসের টিকিট সাধারণ যাত্রীদের হাতে না পৌঁছে কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে যাত্রীরা অতিরিক্ত দামে টিকিট কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
ভুক্তভোগীদের দাবি, অনলাইনে টিকিট না পেয়ে স্টেশনে গেলেও তারা টিকিট পান না। অথচ নির্দিষ্ট সময় পর সেই টিকিটই কালোবাজারিদের হাতে চলে আসে। এ বিষয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যাত্রীদের মন্তব্য:
ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানিয়েছেন, অনলাইনে টিকিট বুক করতে পারলেও প্রায়শই সিস্টেমে দেখানো হয় টিকিট শেষ। স্টেশনে গিয়ে দেখেন একই টিকিট কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে। এক যাত্রী বলেন, “আমরা ঠিক সময়মতো বুক করি, কিন্তু টিকিট পাই না। পরে দেখি কালোবাজারে কয়েকগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। এটা একেবারেই অন্যায়।”
রেলওয়ের প্রতিক্রিয়া:
কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে বিভাগের কর্মকর্তা জানান, “এই ধরনের অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। আমরা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছি। যদি সিন্ডিকেটের সক্রিয়তা পাওয়া যায়, তবে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাত্রীদের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা ব্যবস্থা নেব।”
সম্ভাব্য সমাধান:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনলাইন টিকিটিং সিস্টেমে ট্র্যাকিং এবং রিয়েল-টাইম মনিটরিং জোরদার করলে কালোবাজার দমন সম্ভব। এছাড়া, স্টেশন ও অনলাইনের বুকিং প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধি ও নিয়মিত নজরদারি নিশ্চিত করলে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি কমানো সম্ভব।