জাতীয় পার্টির (জাপা) কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, রংপুরে জাতীয় পার্টির ওপর হামলার চেষ্টা করা হলে তা শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে রংপুরের সেন্ট্রাল রোডে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “রংপুরে যেন কেউ না ভাবে জাতীয় পার্টি দুর্বল। এখানে হামলা করতে আসলে তাদের পাল্টা প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে।”
তার এই বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে জানা যায়, ঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ চলছে।
মোস্তফা অভিযোগ করেন, “জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ঢাকায় গতকাল কিছু মহল পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে। তবে রংপুরে এখনও তেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। যদি কারও শক্তি থাকে, তারা আসুক, দেখে যাক কী অবস্থা হয়।”
এর আগে শুক্রবার রাতে ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। ওই সময় গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটায় নুরুল হক নুরসহ কয়েকজন আহত হন।
মোস্তফা আরও বলেন, “জাতীয় পার্টি নির্বাচনে ভালো ফলাফল করতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই বারবার দলটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমাদের নেতাদের বারবার কারাগারে পাঠানো হচ্ছে, কেউ কেউ পলাতক। কিছু উসকানিদাতা জাতীয় পার্টিকে হেনস্তা করতে চাইছে। এমনকি আমাদের নিষিদ্ধ করার চেষ্টাও চলছে, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক। জনগণই শেষ পর্যন্ত ঠিক করবে কে তাদের প্রতিনিধিত্ব করবে।”
অন্যদিকে, নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে রংপুর নগরীর সেনপাড়া এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
বিক্ষোভকারীরা সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে অভিযোগ করেন, “নুরুল হক নুরের ওপর হামলা সরকারের মদতে হয়েছে।” তারা হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন এবং নুরের প্রতি সংহতি জানান। পরে মডার্ন মোড়ে ব্লকেট কর্মসূচি পালন করে তারা পুনরায় হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন।