ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনায় দেরির কারণ ব্যাখ্যা করেছেন উদয়ন স্কুল কেন্দ্রের কেন্দ্রপ্রধান ও রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এস এম শামীম রেজা।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানান, এই কেন্দ্রে চারটি হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছেন। প্রথমে হল সংসদের ব্যালট যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে এবং একই সঙ্গে ডাকসুর ব্যালটগুলোর স্ক্যানিং প্রক্রিয়া চলছে। তবে এখনও গণনা শুরু হয়নি।
অধ্যাপক শামীম রেজা বলেন, ডাকসুর ব্যালটগুলোর ভেতরে একটি স্ক্যানিং শেষ করেছি। এখনো দুইটি বাকি আছে। প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়ার কারণে সময় বেশি লাগছে। আমাদের যাঁরা প্রযুক্তির দায়িত্বে আছেন, তাদের মতে ফল প্রকাশে মাঝরাত পেরিয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এটা কোনো টেকনিক্যাল এরর নয়। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়, স্যাম্পল ম্যানুয়ালি হিসাব করা হয়। তারপর একাধিকবার প্রযুক্তিগতভাবে যাচাই করা হয়।
প্রসঙ্গত, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে ব্যালট বাক্সগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে আনা হয়। পরে বাছাই ও যাচাই প্রক্রিয়ায় সময় লাগছে বলে জানান তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। যা বিরতিহীনভাবে চলে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৮টি ও হল সংসদে ১৩ পদে ভোট দেন শিক্ষার্থীরা।
ভোট গ্রহণ শেষে জানা যায়, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ৮০.২৪ শতাংশ, অমর একুশে হল ৮৩.৩০ শতাংশ, ফজলুল হক মুসলিম হল ৮১.৪৩ শতাংশ, জগন্নাথ হল ৮২.৪৪ শতাংশ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ৮৪.৫৬ শতাংশ, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ৮৩ শতাংশ, রোকেয়া হল ৬৫.৫০ শতাংশ, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ৬৮.৩৯ শতাংশ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ৬৭.০৮ শতাংশ, স্যার এ এফ রহমান হল ৮২.৫০ শতাংশ, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ৮৩.৩৭ শতাংশ, বিজয় একাত্তর হল ৮৫.০২ শতাংশ, সূর্যসেন হল ৮৮ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ৭৫ শতাংশ, শেখ মুজিবুর রহমান হল ৮৭ শতাংশ, কবি জসীম উদ্দীন হল ৮৬ শতাংশ, কবি সুফিয়া কামাল হল ৬৪ শতাংশ, শামসুন নাহার হল ৬৩.৬৭ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।