চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় জায়গা বিক্রির পর পুনরায় পুরনো মালিকপক্ষ কর্তৃক জায়গা দখলের পাঁয়তারা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা এ ঘটনাকে ‘হয়রানি’ দাবি করে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। স্থানীয়রা বলছেন, “বিক্রির পর জায়গা দাবি করা শুধু হয়রানির কৌশল।” ঘটনার পটভূমি মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন মৌজা-সোনাপাহাড়, জেএল নং ১৩, আরএস খতিয়ান নং ৫০৮, আরএস দাগ নং ১৬৯ ও বিএস খতিয়ান নং ৮৮০ ও ৯৩৬, বিএস দাগ নং ৩৮, ৩৯, ৪০ দাগের জমি নিয়ে এই বিরোধ। ২০০৯ সালে কুতুব উদ্দিন গং এর মাতা বৈধ দলিলের মাধ্যমে মুশফিক উদ্দিন গং-এর চাচার নিকট থেকে এ জমি ক্রয় করেন। এরপর থেকে কুতুব উদ্দিন গং ওয়ারিশ সুত্রে ও কবলা সুত্রে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ-দখলে আছেন। কবলা নং ২৪৮৬, তারিখ ০৩/১০/২০০৩ইং কবলা নং ৯৮১, তারিখ ০১/০৪/২০০৪ইং কবলা নং ৯৮২, তারিখ ০১/০৪/২০০৪ইং এ দলিলের মাধ্যমে মুশফিক গং এর পিতা সালাউদ্দিন, সুফিয়া খাতুন ও মহব্বতেন্নেসা তাদের প্রাপ্য সমুদয় অংশ বিক্রি করে বশর হাজি (সাইদুল আলম গং) এর হাতে সঁপে দেন এবং তারা ভোগদখল এ স্থিত আছেন। কিন্তু হঠাৎ সালাউদ্দিন গং ও তাদের উত্তরসূরিরা আবারও জায়গা দাবি করতে শুরু করেন। অপরদিকে, সৈয়দা জাহানারা বেগম পৈত্রিক সম্পত্তির দাবি তুলে বিএস ৯৩৬ খতিয়ান সংশোধনের জন্য ২০০৮ সালে মামলা (নং ১৭৩/২০০৮) দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে মামলা নং ৩০৯৩৯/২৪ আকারে মীরসরাই সহকারী জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। প্রতিপক্ষ সালাউদ্দিন গং- জাতীয় দৈনিক একুশের সংবাদ কে জানায়, আমরা বিএস ৩৮, ৩৯, ৪০ দাগে ৮ শতক জায়গা পেয়েছিলাম। এর মধ্যে ৫ শতক বিক্রি করেছি, তবে ৩ শতক বিক্রি করিনি। ঐ জায়গায় যখন বিল্ডিং নির্মাণ শুরু হয়, তখন আমরা সম্মানের খাতিরে বাধা দিইনি।” তবে কুতুব উদ্দিন গং বলছেন, প্রতিপক্ষের সব অংশ বিক্রয় হয়ে গেছে। এখন নতুন করে জায়গা দাবি করা অযৌক্তিক। সালাউদ্দিন গং জায়গার দাবিতে আরও দুটি জিআর মামলা দায়ের করেছিলেন (মামলা নং ৮৮/১৯ ও জিআর ৪৬/২০)। এসব মামলার তদন্ত পিবিআইয়ের হাতে যায়। তদন্ত শেষে এসব মামলায় কোনো সত্যতা না পাওয়ায় আদালত কুতুব উদ্দিন গংকে স্ব-সম্মানে অব্যাহতি দেন। এলাকার স্থানীয়রা বিষয়টিকে নিছক হয়রানি হিসেবে দেখছেন। জামালপুর এলাকার মোস্তফা ড্রাইভার, সোহরাব, রুস্তম আলী, হাসান ও বাবুল মিয়া সাংবাদিকদের বলেন— “২০০৪ সালে জায়গা বিক্রি করার পর বহু বছর শান্তিপূর্ণভাবে কুতুব উদ্দিন গং ভোগ-দখলে ছিলেন। এখন আবার জায়গা দাবি করা শুধু দখলের কৌশল এবং হয়রানি ছাড়া কিছুই নয়।” তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এ ধরনের হয়রানি বন্ধ করা প্রয়োজন। কুতুব উদ্দিন গং সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন— “আমরা ওয়ারিশ সুত্রে মালিক দখলকার আছি এবং বৈধভাবে জায়গা কিনেছি, কোনো অন্যায় করিনি। আমরা কারও সম্পত্তি চাই না। আদালতের কাছে আমাদের একটাই আবেদন—যাতে সব মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারি।এখন আমাদেরকে বিভিন্ন সন্ত্রাসী দিয়ে হুমকি দিচ্ছে আমরা খুব আতঙ্কে আছি।