
ওয়াশরুমে যাওয়ার পথে ট্রেনের বগিগুলো দেখে বিস্ময় হল — ছবি তুললাম। ফেরার পথে দেখলাম আরেকটি বগিতে কিছু মাদ্রাসার বাচ্চা দাঁড়িয়ে আছে এবং এক এটেনড্যান্ট (ট্রেন কর্মী) তাদের কাছে টাকা দাবি করছে — দাম কষাকষি চলছে। একপর্যায়ে সেই এটেনড্যান্ট টাওজারের (টাওজার?) পকেটে হাত ঢুকিয়ে বাচ্চাদের টাকার সন্ধান করছে। তিনি বলছিলেন ২০০ টাকা চাই, যদি ২০০ টাকা না দেন তবে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেবেন।
এই দৃশ্য দেখে রাগকে আর ধরে রাখতে পারিনি। এটেনড্যান্টকে জিজ্ঞাসা করলাম — ‘‘আপনি কেন তাদের কাছে টাকা নিচ্ছেন?’’ তিনি বললেন TTE বলেছেন টাকা নিতে। তখন আমি বললাম — ‘‘এখান থেকে চলে যান, তারা কোনো টাকা দেবে না। আপনি যিনি TTE বলেছেন, উনাকে নিয়ে আসেন—এখনই বলবেন একজন বলেছে তারা টাকা দিবে না।’’ এরপর আমি এটেনড্যান্ট ও সেই কিছু বাচ্চাকে নিয়ে কয়েকটি বগি ঘুরে TTE-কে খুঁজে বের করি।
TTE আমাকে বললেন—না না, তাদের কোনো টাকা দিতে হবে না, দেখছি; অনুগ্রহ করে আপনার সিটে চলে যান এবং তাদের তাদের বগিতে দিয়ে দিন। যে লোকটা টাকা নিতে চেয়েছিল তার ছবি তুলতে চেয়েছিলাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী ঘটলো—সেটা আপনি সকলে জানেন, এখানে জানাচ্ছি যাতে জনসাধারণ জেনে রাখে এবং অভিজ্ঞ লোকদের কাছ থেকে পরামর্শ পাই।
জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে জানতে চাই: কোনো এটেনড্যান্ট ব্যক্তি, রেলওয়ে পুলিশ বা আনসার—কারো কি টিকেট চেক করার বা টিকেট চাওয়ার সরকারি/আইনি এখতিয়ার আছে? যদি থাকে, কোন শর্তে এবং কীভাবে সাধারণ মানুষ নিজেদের অধিকার রক্ষা করবে? অভিজ্ঞদের দয়া করে জানাবেন। (প্রয়োজনে ঘটনাস্থলের সময়/বগি/যাত্রীর ছবি শেয়ার করব।)