মোস্তাফিজুর রহমান মানেই, সাদা বলের ম্যাচে ডেথ বোলিংয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভরসা। তার কাটার ডেলিভারিতে বিশ্বের ভয়ঙ্কর ব্যাটারদের কাবু করেন তিনি। উইকেট না পেলেও তার ওভারে রান আসে খুবই কম। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের ম্যাচে ডেথ ওভারে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ১৮ ও ২০তম ওভার মিলিয়ে দিয়েছেন ১৬ রান। ১৮তম ওভারে ৬ রান দিলেও শেষ ওভারে দেন ১০ রান। সব মিলিয়ে ৪ ওভার বোলিং করে উইকেটশূন্য থেকে দেন ৪০ রান। তবে পারলেও এর মধ্যেই ৭টি ডেলিভারি ছিল ‘ডট’। আর সেই ডট দিয়েই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির এক দারুণ তালিকায় শীর্ষে উঠে গেছেন ফিজ। মোস্তাফিজ এখন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ডট বল আদায় করা বোলার। এ পর্যন্ত ১১৪২টি ডট আদায় করেছেন তিনি, যা এই সংস্করণে সর্বোচ্চ। তালিকায় দ্বিতীয় নিউজিল্যান্ডের সাবেক পেসার টিম সাউদি, তৃতীয় বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। চারে ইংল্যান্ডের লেগ স্পিনার আদিল রশিদ আর পাঁচে আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খান। মোস্তাফিজ ১২০ ইনিংসে বোলিং করেছেন। এই সময়ে ২৬১৬টি বৈধ ডেলিভারির মধ্যে ডট ১১৪২টি—অর্থাৎ ৪৩.৬৫ শতাংশ বলেই ব্যাটসম্যান রান নিতে পারেননি। মোট রান দিয়েছেন ৩১৯৫। সাউদি ১২৩ ইনিংসে ২৭৫৩ বল করে ডট আদায় করেছেন ১১৩৮টি (৪১.৩৩ শতাংশ)। সাকিব ১২৫ ইনিংসে ২৭২০ বল করে ডট আদায় করেছেন ১০৭৮টি (৩৯.৬৩ শতাংশ)। এই তালিকায় এক হাজারের বেশি ডট দেওয়া বোলার আছেন কেবল তিনজনÑ মোস্তাফিজ, সাউদি ও সাকিব। আদিল রশিদ ১২৬ ইনিংসে ২৭৫৬ বল করে ডট আদায় করেছেন ৯৮৮টি (৩৫.৮৪ শতাংশ)। আফগান রশিদ খান ১০৫ ইনিংসে ২৪০৮ বল করে ডট আদায় করেছেন ৯৮৪টি (৪০.৮৬ শতাংশ)।
শীর্ষ দশে বাংলাদেশের আর কোনো বোলার নেই। তবে ১১তম স্থানে আছেন তাসকিন আহমেদ। তিনি ৮১ ইনিংসে ১৭৫৫ বল করে ডট আদায় করেছেন ৮৩৮টি—অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক বলেই (৪৭.৭৪ শতাংশ) ব্যাটসম্যানকে আটকে রেখেছেন। ডট আদায় করা শীর্ষ পাঁচ বোলারের মধ্যে সবচেয়ে কম ছক্কা হজম করেছেন রশিদ খান (৮২টি)। এরপর আছেন মোস্তাফিজ (১০৪), সাকিব (১২০), সাউদি (১৪২) ও আদিল রশিদ (১৮৪)। এই তালিকায় উইকেট শিকারে এগিয়ে আছেন রশিদ খান। ১৭৯ উইকেট নিয়ে তিনি টি–টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। সাউদি নিয়েছেন ১৬৪, মোস্তাফিজ ১৫২, সাকিব ১৪৮ ও আদিল ১৪১ উইকেট।
কিপটেমির দিক থেকেও শীর্ষে রশিদ খান। তার ইকোনমি রেট ৬.১২। এরপর সাকিব (৬.৮০), মোস্তাফিজ (৭.৩২), আদিল (৭.৪৮) ও সাউদি (৮.০০)।