• সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:০৪ অপরাহ্ন

বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ফারাসিদ বিন এনাম সাহেবের : একজন জনবান্ধব

ইকবাল খান, স্টাফ রিপোটার, কিশোরগঞ্জ  / ৫২ Time View
Update : সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫

প্রিয় বাজিতপুর উপজেলাবাসী আসসালামু আলাইকুম/আদাব।
গত ৩০/০৯/২০২৫ইং বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ফারাসিদ বিন এনাম সাহেবের সাথে বাজিতপুর উপজেলার একজন শিক্ষকের একজন মতপার্থক্য বা বনিবনা না হওয়ার কারণে দুর্নীতির অভিযোগ এনে উনার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে আমাদেরই বাজিতপুর উপজেলার মাত্র কয়েকজন মানুষ নিয়ে।
পরের দিন অর্থাৎ ০১/১০/২০২৫ইং বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ফারাসিদ বিন এনাম সাহেবের পক্ষে অর্থাৎ আগের দিনের মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন মানববন্ধনের বিরুদ্ধে ❝প্রতিবাদী জনতার❞ ব্যানারে বাজিতপুরের অসংখ্য মানুষ বাজিতপুর বাজার সিনেমা হলের সামনে মানববন্ধন করে।
গণতন্ত্র তো এমনই হওয়ার কথা কেউ পক্ষে থাকবে কেউ বিপক্ষে থাকবে শতভাগ মানুষ আপনার পক্ষে থাকবে এটা আশা করা বোকামি ছাড়া কিছু না। আমি ব্যক্তিগতভাবে ঐ মানববন্ধন দুইটার একটাতেও উপস্থিত ছিলাম না। শুধুমাত্র ফেইসবুকে বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষে একটি কমেন্ট করেছিলাম- ❝বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ফারাসিদ বিন এনাম স্যারের মতো এমন একজন জনবান্ধব কর্মকর্তা বাজিতপুর উপজেলার অতীত ইতিহাসে আগে কখনো আসেনি ❞করার কারণে বাজিতপুর উপজেলার একটি দুষ্টচক্র আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফেইক আইডি থেকে “সন্ত্রাসী তকমা” দিয়ে অপপ্রচার শুরু করছে।
আমি রাজনীতি করি প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে,আমাকে যারা চিনেন বা জানেন কেউ কি আমাকে কোনদিন সন্ত্রাসী/চাঁদাবাজি/মাদক/মারামারি হানাহানি বা ইত্যাদি কার্যকলাপের সাথে যুক্ত হতে দেখেছেন???
আমি মানব সেবার উদ্দেশ্য নিয়ে রাজনীতি করি নিজের পকেট ভর্তির রাজনীতি আমি করি না।
আওয়ামিলীগ আমলের গত ১৬ বছর জুলুমের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের পক্ষে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি এবং জুলাই বিপ্লবেও নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বৈরাচারী খুনী হাসিনার বিরুদ্ধে সামনের সারিতে থেকে যুদ্ধ করে সফল হয়েছি  এবং নিজে কোন দিন জুলুমকারি বা স্বৈরাচার হওয়ার জন্য নয়।
তাদের মিথ্যা এবং বানোয়াট দাবী আমি নাকি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে মানববন্ধনে অংশ নেয়া বাজিতপুর উপজেলা এনসিপির আহ্বায়ক রাহাগীর আলম মান্না ভাইয়ের বাড়ির সামনে মোটর সাইকেল শোডাউন নিয়ে গিয়ে উনাকে খুবই বাজে ভাবে গালি-গালাজ করেছি।
অথচ আমি আমার ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক কাজে গত ২৯/০৯/২৫ ইং তারিখে ঢাকা চলে এসেছি এবং এখনো ঢাকাতে অবস্থান করছি। তবে এনসিপির বাজিতপুর উপজেলার আহ্বায়ক মান্না ভাই কোথাও আমার নাম উল্লেখ করে কিছু বলেননি বরং ফেইক আইডিগুলোতে উনি নিজে কমেন্ট করেছেন অযথা মিথ্যা অভিযোগ এবং সাংঘর্ষিক কথা না বলার জন্য অনুরোধ করেছেন।
আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে রাহাগীর আলম মান্না ভাইকে ধন্যবাদ জানাই আমার একটাই অপরাধ আমি কেন বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষে কমেন্ট করলাম আমি মনে করি বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ফারাসিদ বিন এনাম সাহেবের পক্ষে কথা বলার বেশ কিছু কারণ আছে।
আমি কারণ গুলো নিচে উল্লেখ করা করলাম:-
বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ফারাসিদ বিন এনাম একজন দক্ষ, দায়িত্বশীল,কর্মঠ এবং জনবান্ধব কর্মকর্তা।
এতসব গুণ থাকার পরেও উনি আমাদের মতোই একজন রক্ত মাংসে গড়া মানুষ,অথচ তার কাঁধে পুরো উপজেলার প্রশাসনিক সকল দায়ভার—বাজিতপুর উপজেলা,বাজিতপুর পৌরসভা, বাজিতপুর উপজেলার আওতাধীন ১১টি ইউনিয়ন, বাজিতপুর উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজিতপুর সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দায় দায়িত্ব সব কিছুর তিনি একাই সামাল দেন।
যেখানে অনেকগুলো দপ্তর উনার একার কাজ করার কথা নয় তবুও দেশের স্বার্থে এই বড় দায়িত্ব তিনি একাই সামাল দিচ্ছেন। সরকারি অফিসের সময় সাধারণত সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত,কিন্তু দেখা যায় উনি প্রায়ই রাত ৮-৯টা পর্যন্ত তিনি অফিসের কাজ করেন।এই কাজ এই ডেলিগেশন কি তার ব্যক্তিগত স্বার্থে বা প্রয়োজনে?
অবশ্যই না,আমাদের বাজিতপুর উপজেলার সবার স্বার্থে এবং দেশের স্বার্থে।
প্রতি বুধবার তিনি গণশুনানিতে বসেন ঐদিন সারাদিন বাজিতপুর উপজেলার সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা শোনেন এবং তাৎক্ষণিক সমস্যা সমাধানের ও চেষ্টাও করেন।
বাজিতপুর উপজেলার কোথাও ঝগড়া-বিবাদ বেধে গেলে যাতে ঐ ঝগড়া যেন বড় না হয়,সবার আগে তিনিই পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
টিসিবি,খাদ্য-বান্ধব এবং সরকারি সকল অনুদান বাজিতপুর উপজেলার গরীব মানুষের মাঝে সুষ্ঠুভাবে বন্টন তিনি নিজ দায়িত্বে নিশ্চিত করেন।
সমালোচকরা কি বলতে পারবে বা কখনো কি শুনেছে উনি জনগণের প্রাপ্য অধিকার নিজে আত্মসাৎ করেছেন??
একবার ভেবে দেখুন তো এতো দায়িত্ব যদি আপনার কাঁধে দেওয়া হয় আপনি কি শত ভাগ সঠিকভাবে সবকিছু সামাল দিতে পারতেন?
এতো দায়-দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার পরও কেন উনার বিরুদ্ধে এতো সমালোচনা??
সমালোচকরা মূলত একটি বিষয় নিয়ে উনার সমালোচনা করছেন আর সেটি হলো আনলোড ড্রেজার।
ড্রেজার চলতে দিলেও সমালোচনা আবার বন্ধ করে দিলেও সমালোচনা।
চলতে না দিলে বলে পার্শ্ববর্তী উপজেলাতে নির্বিঘ্নে ড্রেজার চলে সেখানে কোন সমস্যা নেই সব সমস্যা শুধু আমাদের বাজিতপুরে।
আর চলতে দিলে বলে টাকা খেয়ে ড্রেজার চলতে দিয়ে দুর্নীতি করে একেবারে সব শেষ করে ফেলতেছে।
এখন আপনারাই বলুন উনি কি করবে??
আসুন এবার সত্য জানি- যারা উনার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে এর মূল কারণ হলো ইউএনও সাহেব কেন তারদের ড্রেজার বন্ধ করে দিয়েছেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণ কারি একজন পুকুরে লোড ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করেছিলেন যার কারণে পুকুরের আশে-পাশের অনেক মানুষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ফারাসিদ বিন এনাম সাহেবের কাছে অভিযোগ করেন এবং বিষয়টি পত্র/পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঐ ড্রেজার বন্ধ করে দেন।
আর এ কারণেই তারপরের দিনই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগী এবং তার অনুগত কিছু লোকজন।
সত্যি কথা হলো—একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কখনোই সবার মন রক্ষা করে চলতে পারেন না, আমার মতে অবশ্যই না।
এখন অনেকেই বলবেন আমি হয়তো উনার কাছ থেকে বিশেষ কোন সুবিধা পেয়েছি তাই উনার পক্ষে লিখছি-আসলে কিন্তু বিষয়টা এরকম নয়। আমি কখনো অন্যায় সুবিধা নিতে উনার কাছে যাইনি এবং কখনো যাবো না।
আমি বুকে হাত রেখে বলছি এখন পর্যন্ত বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ফারাসিদ বিন এনাম স্যার আমাকে ব্যক্তিগতভাবে ১০ টাকারও কোন প্রকার সুযোগ সুবিধা দেয়নি আর কোন সুযোগ নেয়ার উদ্দেশ্য আমারও নেই।
বাজিতপুর উপজেলার একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজের দায়বদ্ধতা থেকেই উনার পক্ষ নিয়েছি আমার মনে হয়েছে আমি ন্যায়ের পক্ষ নিয়েছি।
আরেকটা কথা আমার মন যেটাকে ন্যায় মনে করে আমি সেটাই করি কোন কিছুর পরোয়া বা ভয় করিনা। আমি মনে করি মানুষের বিবেক হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আদালত।
বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিনি ফেরেশতা নন আমাদের মতোই মানুষ। তাই যেন কোন সময় উনার ভুল হতে পারে। ভুল হলে গঠনমূলক সমালোচনা করার অধিকার সবার আছে।
কিন্তু সমালোচনা এমন কেন হবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জনকারীকে এবং প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মচারী সম্মানী ব্যক্তি কে রাস্তায় দাঁড়িয়ে গালমন্দ করে অসম্মানিত করতে হবে!
আপনাদের কাছে যদি কোন সঠিক তথ্য প্রমাণ উনার বিরুদ্ধে থাকে তাহলে উনার ঊর্ধতন কর্মকর্তার কাছে কমপ্লেন করতেন কিন্তু আপনারা তা না করে ফেইবুকে বিভিন্ন ফেইক আইডি দিয়ে এবং মানববন্ধনের নামে রাস্তায় দাঁড়িয়ে গালমন্দ করেছেন এটা করা আমার মতে উচিত হয়নি।
আপনাদের তো উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ফারাসিদ বিন এনাম সাহেবের ন্যায়পরায়ণতা,কর্মনিষ্ঠা,সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ আর অক্লান্ত পরিশ্রম এবং জনবান্ধব হয়ে উঠা ভালো কাজের মতো গুণগুলো আপনাদের চোখে পড়ে না।
আপনারা প্রতি-হিংসায় এতটাই অন্ধ হয়ে গেছেন আমাদের খুব লজ্জা হয় আপনাদের এমন কর্মকান্ড দেখলে।
সমালোচকরা কি জানেন বাজিতপুর পৌরসভা ও কৈলাগ ইউনিয়নের ঝগড়া থামাতে গিয়ে উনি নিজে এবং উনার অধীনস্থ পুলিশ,সেনাবাহিনীর অসংখ্য সদস্যরা সেদিন প্রায় সারারাত কর্তব্য পালন করতে যেয়ে অনেকেই আহত হয়েছিল।
দু’পক্ষের মারামারির দিন রাতের বেলা বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরাসিদ বিন এনাম সাহেবের খুব কাছাকাছি ছিলাম আমি,দেখেছি বাজিতপুর উপজেলার সাধারণ মানুষের জন্য উনার কতো দরদ এবং ভালোবাসা।
গুলিবর্ষণ ছাড়া কিভাবে ঝগড়া থামানো যায় সেই চেষ্টা সর্বোচ্চ করেছেন এবং তিনি সফল হয়েছিল গুলি বর্ষণ ছাড়া মারামারি থামাতে। আর ঐ দিনই উনি আমার মতো হাজারো মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন।
এছাড়াও বাজিতপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ঝগড়া থামানোর জন্য তিনি নিজে উপস্থিত হয়ে ঝগড়া থামিয়েছেন। তিনি প্রায় সব সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মারামারি ঘটনাস্থলে চলে যান।
বাজিতপুর বাজারের ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে ভবিষ্যতে যেন বাজিতপুর বাজারে কোন ধরনের ঝগড়া না হয় সে জন্যে স্থায়ী ভাবে ঝগড়া বন্ধের জন্য এবং বাজিতপুর বাজারে কেউ যেন কোনদিন লুটপাট করতে না পারে- “দুই কোটি টাকার জরিমানা আইন” চালু করেন—এসবই উনার দূরদর্শী পদক্ষেপের প্রমাণ।
এছাড়াও বাজিতপুর উপজেলা এবং পৌরসভার ক্রিয়া প্রেমী মানুষের মধ্যে ফুটবল এবং ক্রিকেট ব্যাট বিতরণ করেছেন। বাজিতপুর পৌরসভার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বৃক্ষরোপণ এবং বিভিন্ন জায়গায় আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করেছেন। গত কিছুদিন আগে একটানা বৃষ্টিপাতের কারণে ডাক বাংলার দিঘী সংলগ্ন রাস্তা প্রায় ভেঙে পড়ে যাচ্ছিলো বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহেবের নজরে আসার পর কাল বিলম্ব না করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে ঐ রাস্তা রক্ষা করেন।
এমন আরো শত শত উন্নয়ন মূলক এবং জনসেবা মূলক কাজ তিনি করেছেন যা বলে শেষ করা যাবে না। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি—তার ভালো কাজের দিকটাই বেশি। তিনি বাজিতপুর থাকলে আমাদের বাজিতপুরবাসীর উপকারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। আমার সবচেয়ে বড় গুণ আমার চোখে যেটা ধরা পড়েছে হাসি মুখে সবার সাথে ভালো আচরণ করেন এবং কারো মাঝে অন্যায় কিছু দেখলে সে যতো বড় মাপের নেতাই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে দাবানলের অগ্নিশিখার মতো জ্বলে উঠেন বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ফরাসি বিন এনাম স্যার আপনি যেখানেই থাকেন ভালো থাকেন।
আপনি যখন যেখানেই আপনার উপর অর্পিত দায়িত্ব এবং কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করে যান। আপনার জন্য দোয়া ও ভালোবাসা সারাজীবন চলমান থাকবে ইনশাআল্লাহ
সর্বশেষ বাজিতপুর উপজেলার জনগণ বিচার বিশ্লেষণ করবে বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ফারাসিদ বিন এনাম ভালো নাকি মন্দ।
বাজিতপুর উপজেলার সকলের জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইলো -ধন্যবাদ
দোয়া করি সবাই ভালো থাকেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন
আমি শাহরিয়ার রহমান শামীম
আহ্বায়ক
বাজিতপুর উপজেলা ছাত্রদল।
একটু সময় নিয়ে সবাই পড়বেন প্লিজ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা