• বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ক্ষমা চাইবে না ফ্যাসিস্ট হাসিনা : লন্ডনের ইন্ডিপেন্ডেন্টকে ‘একবিংশ শতাব্দীতে স্বৈরাচার হাসিনার চেয়ে বড় খুনি কেউ নেই’ : প্রেস সচিব বাংলাদেশিসহ উদ্ধার ৯০, লিবিয়ার উপকূলে নৌকাডুবি প্রধান উপদেষ্টার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন সহজভাবে প্রকাশের আহ্বান  ডিবি পুলিশের অভিযানে মিঠাপুকুরে বন্দুক ও গুলি উদ্ধার ডিবি পুলিশের অভিযানে মিঠাপুকুরে বন্দুক ও গুলি উদ্ধার নির্বাচন প্রস্তুতি বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক : প্রধান উপদেষ্টা রাতের আঁধারে ধানক্ষেতে ফেলে গেল পরিবার ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা কটিয়াদী বাজারে  ‘এ ক্যাটাগরি’ করে দিয়ে যাচ্ছেন, আর আমরা বি ও সি ক্যাটাগরি নুরের ক্ষোভ

বাংলাদেশিসহ উদ্ধার ৯০, লিবিয়ার উপকূলে নৌকাডুবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক / ৬ Time View
Update : বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

বাংলাদেশিসহ উদ্ধার ৯০, লিবিয়ার উপকূলে নৌকাডুবি

লিবিয়ার উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টার সময় অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ১৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর প্রাণহানি ঘটেছে। এই ঘটনায় বাংলাদেশিসহ ৯০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

রাজধানী ত্রিপোলি থেকে প্রায় ৭৬ কিলোমিটার পশ্চিমে উপকূলীয় শহর সাবরাথার রেড ক্রিসেন্ট বলেছে, সোমবার রাতে অভিবাসীবাহী নৌকাটি উল্টে যাওয়ার খবর পাওয়ার পরই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত চলে উদ্ধার কাজ।

 

সংস্থাটি বলছে, সব মরদেহ সুরমান বন্দরের কাছাকাছি উপকূল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্টের প্রকাশিত কিছু ছবিতে দেখা গেছে, স্বেচ্ছাসেবীরা মরদেহগুলো উদ্ধারের পর সাদা প্লাস্টিক ব্যাগে রাখছেন এবং অ্যাম্বুলেন্সে তুলছেন। জীবিত উদ্ধার অভিবাসীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বলেছে, লিবিয়ার আল জাওইয়া থেকে যাত্রা করা কাঠের নৌকাটি সমুদ্রে ভাসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উচ্চ ঢেউয়ের কারণে উল্টে যায়। এতে ১৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন।

 

• বেঁচে ফিরেছেন ১৮ বাংলাদেশি

রেড ক্রিসেন্টের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, জীবিত উদ্ধার অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা ৯০ জন। কিন্তু আইওএম বলেছে, জীবিত উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা ৬৪। এই ৬৪ জনের মধ্যে ১৮ জন বাংলাদেশি। সুদানের নাগরিক রয়েছেন ৩১ জন, তাদের একজন নারী ও এক শিশু। অন্যদের মধ্যে ১২ জন পাকিস্তানি ও তিনজন সোমালিয়ান বলেও জানিয়েছে আইওএম।

যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে কোনও বাংলাদেশি নাগরিক আছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আইওএম বলেছে, নিহতদের জাতীয়তা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

সংস্থাটি বলেছে, এই নৌকাডুবি আমাদের আবারও স্মরণ করিয়ে দেয়, নিরাপত্তা ও সুযোগের খোঁজে বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রায় নামা মানুষদের কতটা ভয়াবহ ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হয়।

চলতি মাসের শুরুর দিকে লিবিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিচালিত একটি চিকিৎসাকেন্দ্র বলেছিল, তিউনিশিয়ার সীমান্তের কাছে লিবিয়ার জুওয়ারা ও রাস ইজদির শহরের মধ্যবর্তী উপকূলীয় এলাকা থেকে দুই সপ্তাহে অন্তত ৬১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগরীয় পথটি বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী অভিবাসন রুট হিসেবে পরিচিত। আইওএম বলেছে, চলতি বছর সংস্থাটির মিসিং মাইগ্রেন্টস প্রজেক্ট অনুযায়ী এই রুটে এক হাজার ৪৬ অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫২৭ জন মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন লিবিয়ার উপকূলে।

 

উদ্ধার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক সহায়তা এবং প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করতে লিবিয়ার স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে বলেও জানিয়েছে আইওএম। ভূমধ্যসাগরে মৃত্যু ঠেকাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের মধ্য দিয়ে নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসন পথ প্রসারিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা