• শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ডিমলায় কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে  মেধাবৃত্তি পরীক্ষা-২০২৫ অনুষ্ঠিত ১০ মাসে ঢাকায় ঝটিকা মিছিল থেকে প্রায় ৩ হাজার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার শেখ হাসিনাসহ ২৬১ পলাতক আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব : প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে : নির্বাচন কমিশনার নোয়াখালীতে জাল টাকা দিয়ে কেনাকাটা করে কৃষকদল নেতা গ্রেপ্তার ব্লাড ক্যান্সারে মারা গেছেন হাইমচর থানার ওসি মহিউদ্দিন জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই : মির্জা ফখরুল বিদেশ থেকে কেনা মোবাইল নিবন্ধনে গুরুত্বারোপ ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের বাংলাদেশ ও চীনের উন্নয়ন দৃষ্টিভঙ্গি অভিন্ন, ঢাকা-গুয়াংজু সহযোগিতার নতুন দিগন্তে

সরকারি চাল কালোবাজারে! অভিযুক্ত ডিলার এবাদুর রহমান রাজা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: / ২৩ Time View
Update : বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তামাই বাজারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মো. এবাদুর রহমান রাজার বিরুদ্ধে অসহায় ও হতদরিদ্র কার্ডধারীদের চাল না দিয়ে তা কালোবাজারে বিক্রির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার (২৭ অক্টোবর) তামাই বাজারে চাল বিতরণের সময় ডিলার এবাদুর রহমান রাজার বিক্রয়কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন কার্ডধারীরা। অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও চাল না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। লাইনে থাকা একাধিক কার্ডধারী অভিযোগ করে বলেন, ডিলার তাদের কাছ থেকে কেজিপ্রতি ১৫ টাকার সরকার নির্ধারিত মূল্যের ৩০ কেজি চাল না দিয়ে ৯০০ টাকায় চাল কিনে নিচ্ছেন। কেউ কেউ জানান, ডিলার বলছেন “চাল দিতে দেরি হবে”, তাই বিক্রি করে টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছি। ভুক্তভোগী বয়স্ক কার্ডধারী সুরমাদান বলেন, আমি কয়েকবার চাল নিতে গিয়েছি, কিন্তু ডিলার একবার ইউনিয়ন পরিষদ, আবার অন্য জায়গায় পাঠিয়ে চাল না দিয়ে ঘুরাচ্ছেন। ঐখান থেকে ঘুরে আবার এসেছি শেষ পর্যন্ত চাল না দিয়ে ৪৫০ টাকা হাতে দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। আরেকজন কার্ডধারী অভিযোগ করেন, চাল নেওয়ার জন্য কার্ড জমা দিয়েছিলাম, পরে চালও দেয়নি, কার্ডটাও ফেরত দেয়নি।” ভুক্তভোগীরা আরও বলেন, ডিলার তাদের হুমকি দেন— “দূরে বসে থাকেন, চাল পাবেন না, টাকা নিয়ে যান। আগামী মাস থেকে কাউকেই চাল দেওয়া হবে না। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিলার মো. এবাদুর রহমান রাজা বলেন, অনেকের কাছে টাকা নেই, কেউ দেরি করবেন না তাই আমি চাল না দিয়ে ৪৫০ টাকা কার্ডধারীদের দিয়ে দিচ্ছি এবং চাল রেখে দিচ্ছি।” তবে এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। তবে ডিলার এবাদুর রহমান রাজা অনিয়ম করেছেন এবং তা স্বীকার করেছেন। পরে বিষয়টি ট্যাগ অফিসার নিজেই টাকা দিয়ে মীমাংসা করার জন্য জোর করেন। বেলকুচি উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা জনাব মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরিন জাহান বলেন, অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান চলমান রেখেছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, এভাবে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ করে ডিলাররা কালোবাজারে বিক্রি করায় প্রকৃত অসহায় মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা অবিলম্বে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ডিলারের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা