শিশুশিল্পী হিসেবে অনবদ্য অভিনয় করে একের পর এক সিনেমায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। স্বীকৃতিস্বরূপ তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। কিন্তু বড় হয়ে যখন তিনি নায়িকা হয়ে সিনেমায় প্রবেশ করলেন, তখন অনেকেই চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ তারকা হিসেবে দীঘিকে ভেবেছিলেন। কিন্তু গত চার বছরে দীঘি নিজেকে নায়িকা হিসেবে সেভাবে প্রমাণ করতে পারেননি। বরং তার বিরুদ্ধে একাধিক নির্মাতা অভিযোগ আনেন অপেশাদারিত্বের। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সিনেমাও হাতছাড়া হয় তার। ২০২১ সালে প্রথম ছবিতেই বড় ধাক্কা খান দীঘি। দেলোয়ার জাহার ঝন্টু পরিচালিত ‘তুমি আছো তুমি নেই’ সিনেমায় দীঘির উপস্থিতি নজর কাড়তে পারেনি। তার বিভিন্ন দৃশ্যে উপস্থিতি নিয়েও নেটদুনিয়ায় চলেছে নানা সমালোচনা। যদিও পরবর্তীতে ছবিটিকে নিজের ‘ভুল’ বলে অভিহিত করেন তিনি। এরপর তিনি অভিনয় করেছেন ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’, ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ ও সর্বশেষ ‘জংলি’ ছবিতে। এর বাইরে একাধিক ওটিটি কনটেন্টেও পাওয়া গেছে তাকে। কিন্তু কোনোটিতেই অভিনয়ে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি। শুধু তাই নয়, রায়হান রাফি, আলোক হাসানসহ একাধিক পরিচালকের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন তিনি। যার ফলে সবশেষ ‘টগর’ ছবি থেকেও তিনি বাদ পড়েন অপেশাদারিত্বের অভিযোগে। সেখানে স্থলাভিষিক্ত হন দীঘিরই সমসাময়িক নায়িকা পূজা চেরি। এদিকে, ‘জংলি’ চলতি বছরের ঈদে মুক্তির পর নতুন কোনো সিনেমায় দীঘির অভিনয়ের খবর এখনো নেই। বরং তাকে দেখা গেছে বিভিন্ন ফটোশুটে ব্যস্ত থাকতে।