‘সময়ের নিখুঁত প্রতিচ্ছবি’—এই স্লোগানকে ধারণ করে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে জাতীয় দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা’র অষ্টম বর্ষপূর্তি ও নবম বর্ষে পদার্পণ অনুষ্ঠান।
শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচার কচিকাঁচা মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক অশোক ধর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি হাসমত আলী এবং প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোরশেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক রাজু আলীম।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন—বিটিভির সাবেক মহাপরিচালক ও বিএনপির সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রেজাবোদ্দৌলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রমিক নেতা আবুল হোসাইন, বিএফইউজে নেতা ও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ, জাসদের সহ-সভাপতি কাজী ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, বাচসাস নেতা রেজাউল করিম রেজা, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মোরসালিন নোমানী, কবি আসলাম সানী, ‘জাগ্রত মহানায়ক’ শিহাব রিফাত আলম, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম তমিজী, কবি মহুয়া কবীর, সাংবাদিক টুটল হুমায়ূন, হুমায়ূন মুজিব, সাংবাদিক নেতা আবু জাফর, দৈনিক একুশে সংবাদ এর সম্পাদক ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিষ্ট অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মজুমদার, সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও স্বদেশ বিচিত্রা’র উপদেষ্টা সম্পাদক সাব্বির আহমেদ রনি, মানবাধিকার সংস্থা আসক ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. শামছুল আলম, কানাডা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ূন পাটোয়ারী, জেদ্দা বিএনপির সভাপতি এম.এ. আজাদ চয়ন, দৈনিক সকালের সময়-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও তেজগাঁও প্রেসক্লাব সভাপতি মো. ফারুক হোসেন এবং আবুধাবি বিএনপির সভাপতি সালাহউদ্দিনসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, “একটি পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে নবম বর্ষে পদার্পণ করা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও স্বদেশ বিচিত্রা আজ দেশব্যাপী পাঠকের ভালোবাসা অর্জন করেছে।”
গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ ও সমাজে এর ইতিবাচক ভূমিকার কথা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, “একসময় সংবাদপত্র চালানো ছিল কঠিন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে। এখন ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের প্রসারে পাঠকের অভ্যাস বদলেছে। তবুও সমাজ, রাষ্ট্র ও জনগণের আস্থা গণমাধ্যমের ওপরই রয়েছে। উন্নত বিশ্বের প্রতিটি দেশের ভিত্তি শক্তিশালী গণমাধ্যম। বাংলাদেশেও গণমাধ্যমের প্রতি সহনশীলতা ও সহযোগিতা বাড়াতে হবে।”
বক্তারা আরও বলেন, “স্বদেশ বিচিত্রা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধে বিশ্বাসী থেকে সমাজে ন্যায়, সত্য ও প্রগতিশীল চেতনা ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাবে।”
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গুণীজনদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন আজগর হোসেন ও আসিফ মাহমুদ।