
এটি একটি গুল্মজাতীয় ওষুধি উদ্ভিদ। ফুল, পাতা, শিকড় সব অংশেই রয়েছে নানা উপকার।
পুষ্টিগুণ: উষনি শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে সতেজ রাখতে সহায়তা করে।
এই শাকে যেসব ওষুধি গুণাগুণ আছে তা দেখে নেওয়া যাক:
দাঁতের ব্যথা: এই শাকের ফুল মুখে নিয়ে কিছুক্ষণ চিবালে দাঁতের ব্যথা উপশম হয়।
শ্বাসকষ্ট ও অ্যালার্জি: এজমা, অ্যালার্জি ও বাতের ব্যথায় উপকারী। নিয়মিত খেলে উপশম হয়।
রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
স্ট্রোক ও ক্যান্সার প্রতিরোধে: শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে স্ট্রোক ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী: ফ্লু, যক্ষ্মা, দাদসহ সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী।
অ্যান্টি-এজিং ও প্রসাধনী গুণ: ত্বকের বয়সের ছাপ কমাতে এবং উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যবহৃত হয় প্রসাধনীতেও।
চুলের যত্নে অনন্য: এই শাক দিয়ে তৈরি তেল বা রস ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হয়। চুলের গোড়া মজবুত হয়। খুশকি ও মাথার ত্বকের সমস্যা দূর হয় ও অকালে চুল পাকা রোধ হয়। সেই সাথে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
জ্বর ও সর্দি-কাশিতে উপকারী: উষনি শাক শরীর ঠান্ডা রাখে এবং জ্বর-সর্দিতে দ্রুত আরোগ্য দেয়।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে: নিয়মিত খেলে গ্যাস্ট্রিক ও বদহজমের সমস্যা কমে যায়।
রক্ত পরিষ্কার করে: শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে।
চর্মরোগে কার্যকর: বিভিন্ন ত্বকের সমস্যায় উষনি শাক ভেষজ ওষুধের মতো কাজ করে।
রক্তশূন্যতা দূর করে: আয়রনসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি অ্যানিমিয়া রোগীদের জন্য উপকারী।
এই গাছকে বলা হয় “ইলেকট্রিক প্ল্যান্ট” কারণ এর পাতা ছুঁলে ঝাঁকি মতো অনুভূতি হয়। প্রাচীন ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এই গাছের ব্যবহার বহুদিনের।