রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের দিকে দুটি বুলডোজার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে—এমন দৃশ্য দেখা গেছে সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার সিটি কলেজের সামনের সড়কে। বুলডোজারের পাশে হাঁটছিলেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। পরিচয় জানতে চাইলে তারা জানান, আজকের রায়কে কেন্দ্র করে তারা “প্রতীকী আন্দোলনে” যুক্ত হয়েছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার সিজানুল হক বলেন, “আমরা কোনোভাবেই কাউকে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে দেব না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।”
গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় দায়ের করা প্রথম মামলার রায় আজ (১৭ নভেম্বর) ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আরেকজন উচ্চপদস্থ নেতা।
রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ মোড়, সরকারি স্থাপনা এবং রায় ঘোষণাস্থল হাইকোর্ট–ট্রাইব্যুনাল এলাকায় অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে তল্লাশি জোরদার করা হয়। দোয়েল চত্বর থেকে শিক্ষাভবন অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অন্যান্য দিনের তুলনায় ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা কম। গত কয়েকদিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানান, যেকোনো ধরনের নাশকতা প্রতিরোধে তারা সর্বোচ্চ প্রস্তুত।