• রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
চলতি মাসে সরকারি কর্মজীবীদের টানা ৩ দিনের ছুটি চৌদ্দগ্রামে ছাতিয়ানী এবতেদায়ী মাদ্রাসায় বার্ষিক পুরস্কার, বিদায়ী সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত গাজীপুরে গেস্ট হাউজের ম্যানেজার নিখোঁজ, লাখাধিক টাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসি সম্পূর্ণ প্রস্তুত: সচিব আখতার আহমেদ বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সব ধরনের সহযোগিতা করছে সরকার : প্রেস সচিব ‘১০ ভোট পেলেও আমরা একাই নির্বাচন করব’ : এনসিপি গণঅধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে : নুর খালেদা জিয়ার অসুস্থতায় গভীর উদ্বেগ : মির্জা আব্বাস খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখতে সরকার সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে রয়েছে : মো. তৌহিদ হোসেন

পর্যবেক্ষণ শুরু করল ট্রাইব্যুনাল : হাসিনার রায়

অনলাইন ডেস্ক / ২৬ Time View
Update : সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫

 

চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণ উপস্থাপন করছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই রায়ের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরছেন। তার আগে আজ বেলা সাড়ে ১২টায় ৪৫৩ পৃষ্ঠার ছয় ভাগে বিভক্ত এই রায় পাঠ করা হয়।

ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য বিচারক হলেন মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

বহুল আলোচিত এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ এনে শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে প্রসিকিউশন। তাদের পক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী অবশ্য আসামিদের নির্দোষ দাবি করে খালাস চান। রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের খালাসও দাবি করেন তার আইনজীবী।

এই মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস. এইচ. তামিম শুনানি করেন। শুনানিতে প্রসিকিউটর বি. এম. সুলতান মাহমুদ, শাইখ মাহদি, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্যান্য প্রসিকিউটর উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।

ঐতিহাসিক এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের পিতাসহ স্বজনহারা পরিবারের অনেকে। স্টার উইটনেস হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনের নেতা নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। মোট ৫৪ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

গত ১০ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। একপর্যায়ে দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। এখন দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সে সব অভিযোগের বিচার চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা