• রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
চলতি মাসে সরকারি কর্মজীবীদের টানা ৩ দিনের ছুটি চৌদ্দগ্রামে ছাতিয়ানী এবতেদায়ী মাদ্রাসায় বার্ষিক পুরস্কার, বিদায়ী সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত গাজীপুরে গেস্ট হাউজের ম্যানেজার নিখোঁজ, লাখাধিক টাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসি সম্পূর্ণ প্রস্তুত: সচিব আখতার আহমেদ বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সব ধরনের সহযোগিতা করছে সরকার : প্রেস সচিব ‘১০ ভোট পেলেও আমরা একাই নির্বাচন করব’ : এনসিপি গণঅধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে : নুর খালেদা জিয়ার অসুস্থতায় গভীর উদ্বেগ : মির্জা আব্বাস খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখতে সরকার সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে রয়েছে : মো. তৌহিদ হোসেন

শেখ হাসিনাকে দেশে এনে দণ্ড কার্যকরের দাবি—শহীদ সৈকতের বোনের বক্তব্য ট্রাইব্যুনালে

অনলাইন ডেস্ক / ১২ Time View
Update : সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫
শহীদ মাহামুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত মাহামুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী বলেছেন যে তারা শুধু রায়ের অপেক্ষায় নীরব থাকতে চান না; পরিবারের দাবি হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইন অনুযায়ী দণ্ড কার্যকর করা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী বলেন,
“আমরা শুধু এই রায়েই চুপ থাকতে চাই না। আমাদের দাবি, তাকে দেশে এনে জনসম্মুখে ফাঁসি দেওয়া হোক। কারণ, সে যা করেছে, আমার ভাইকে এবং বাকি অনেক মায়ের বুক খালি করেছে… আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত থামব না, যতক্ষণ পর্যন্ত তার শেষ না দেখি।”

তবে তিনি আরও বলেন,
“শহীদ পরিবার হিসেবে অবশ্যই আমরা প্রত্যাশা করি সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। কিন্তু আদালত যদি অন্য কিছু মনে করেন, আমরা সেটা আদালতের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছি। আমরা চাই ন্যায়বিচার—যতটুকু তার প্রাপ্য, ততটুকু শাস্তি দেওয়া হোক।”

সাবরিনা অভিযোগ করেন যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে বিচার মোকাবিলায় আগ্রহী নন। তার ভাষায়,
“আমি মনে করি, তার যদি সেই সৎ সাহসটা থাকতো, তবে সে দেশে এসে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতো।”

গত বছরের ১৯ জুলাই সৈকতের মৃত্যু

২০২৪ সালের ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ঢাকা কলেজের ছাত্র মাহামুদুর রহমান সৈকত।

প্রথমে পরিবার মামলা করতে না চাইলে আন্দোলনের চাপ ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর তার বাবা মাহাবুবের রহমান ২০২৪ সালের ২৫ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী, এমপি এবং পুলিশ সদস্যদের আসামি করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা