• বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে মব ভায়োলেন্স থেকে সরে আসতে হবে: ফখরুল ঢাকা–কিশোরগঞ্জ রুটে ৮০ দশকের পুরোনো রেক পরিবর্তনের দাবি কমলাপুর রেলস্টেশনে করুণ দৃশ্য দুই শিশু নিয়ে ঠাণ্ডা প্ল্যাটফর্মে রাত কাটালেন নাসিমা “অবশেষে হয়ে গেল চট্টগ্রাম বন্দর এবং ডেনমার্কের মায়ের্স্ক গ্রুপের মধ্যে ৩০ বছরের চুক্তি” নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন : ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিজয় দিবসে এবারও প্যারেড হচ্ছে না ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ জনের প্রাণহানি চট্টগ্রামে কোস্ট গার্ডের তারুণ্যের উৎসব পালন জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম: আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জন নিরাপত্তা। বিতর্কিত মন্তব্যের জবাব : কুরেশি মিস ইউনিভার্স এ জামান মিথিলাকে ভোট দেয়ার শেষ দিন আজ

অসংখ্য হেভিওয়েট নেতার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে : দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য

ইকবাল খান, স্টাফ রিপোটার, কিশোরগঞ্জ  / ৪০ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫

করার আগে একবার ভেবে দেখবেন, এত লাফা-লাফি কইরেন না সাবধান দলকে উপেক্ষা করে নেতা সাজতে গিয়ে এমন অসংখ্য হেভিওয়েট নেতার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে !!

এদের থেকে আপনি বড় নেতা নন, দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে, তার পক্ষে কাজ করেন, ধানের শীষকে বিজয়ী করেন!!!

আজ আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, যেখানে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা, ঐক্য বজায় রাখা এবং আমাদের লক্ষ্য অর্জনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রিয় দল বিএনপি, আমাদের জাতির স্বপ্ন, সংগ্রাম এবং শক্তির এক অনন্য পরিচায়ক। কিন্তু আমরা কি জানি, অতীতে অনেক বড় নেতা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা দলীয় ঐক্য ভঙ্গ করেছে, এবং তা তাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে?

বদরুদ্দোজা চৌধুরী, আব্দুল মান্নান ভুঁইয়া, নাজমুল হুদা, শাহাজাহান ওমর, এবং আরও অনেক গর্বিত নেতা, যাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার একসময়ে চূড়ান্ত উচ্চতায় পৌঁছেছিল, তারা যখন দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজস্ব পথে চলতে শুরু করেছিলেন, তখন তাদের সেই পথ আর সঠিক পথে পরিণত হয়নি। তারা নিজেদের প্রয়াসে রাজনৈতিক সাফল্য লাভের চেষ্টা করলেও, দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্য বজায় না রাখার কারণে তাদের অভিজ্ঞতা শেষ পর্যন্ত দলের প্রতি তাদের আনুগত্য ও সমর্থনকে অবমূল্যায়িত করেছে।

আমরা কি সেই পথ অনুসরণ করতে চাই? নিশ্চয়ই না। আমাদের লক্ষ্য একটাই—দলীয় সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেওয়া, দলের মনোনীত প্রার্থীকে সমর্থন করা এবং দলের উদ্দেশ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া। আমাদের যে শক্তি তা একত্রিতভাবে কাজ করতে জানলে বিএনপি’র বিজয় নিশ্চিত।

প্রিয় সহযোদ্ধাগণ,
আপনারা যদি মনে করেন যে, দলীয় ঐক্য বজায় রাখার মাধ্যমে এবং দলের মনোনীত প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে আমরা আগামী দিনে বিজয়ী হতে পারব, তবে আমাদের অবশ্যই একত্রিত হতে হবে, আমাদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য কোনও স্থান নেই।

এটা সময়ের দাবি, আমাদের দলের জন্য, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য এবং এই দেশের গণমানুষের জন্য। আমরা সকলেই এই সংগ্রামের অংশীদার, এবং আমাদের একযোগ প্রচেষ্টায় বিএনপি’র বিজয় নিশ্চিত হবে।

আমরা ভুলে গেলে চলবে না—যতটুকু গুরুত্ব দলের শৃঙ্খলা, ঐক্য ও সমর্থন দিয়ে কাজ করা হবে, ততটাই আমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। বিএনপি, যদি আমরা একসাথে কাজ করি, শুধু দেশ নয়, বিশ্বের মঞ্চেও প্রমাণ করবে যে আমাদের নেতৃত্ব, আমাদের শক্তি, আমাদের সম্মান অটুট।

তাহলে, চলুন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষকে জয়ী করার পথে এগিয়ে চলি। আমাদের জন্য, দেশের জন্য, আমাদের সকল নেত্রীবৃন্দের জন্য—একসাথে বিজয়ের পথে পা বাড়াই।

ধন্যবাদ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা