ঢাজা ০৮:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘মধ্যযুগীয় কায়দার বর্বরতা’—নূরুল কবীর

  • ডেস্ক রিপোর্ট:
  • সপ্রকাশিত হয়েছে: ০১:০০:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১১ শেয়ার


দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম প্রথম আলোডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংঘটিত হামলাকে ‘মধ্যযুগীয় কায়দার’ বর্বরতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন সংবাদপত্র সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর। তিনি বলেন, এ ধরনের হামলা শুধু সংবাদমাধ্যম নয়, পুরো সমাজ ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য ভয়ংকর বার্তা বহন করে।

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। দেশে চলমান ‘মব ভায়োলেন্স’-এর প্রতিবাদে সম্পাদক পরিষদ ও নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।

সভায় সূচনা বক্তব্যে নূরুল কবীর বলেন, “হামলাকারীরা মধ্যযুগীয় কায়দায় পুড়িয়ে মারতে চেয়েছে। যখন অফিসে সবাই কাজ করছিল, তখন চারদিক থেকে আগুন লাগানো হয়েছে। দমকল বাহিনীর প্রবেশের পথ বন্ধ করে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “পৃথিবীর কোনো সমাজ যদি এ ধরনের ঘটনা সহ্য করে এবং এর বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে না দাঁড়ায়, তাহলে শুধু কয়েকটি সংগঠন নয়—পুরো সমাজব্যবস্থা ধ্বংসের দিকে চলে যাবে। সমাজের অগ্রগতির সব সম্ভাবনাই রুদ্ধ হয়ে পড়বে।”

প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “আমরা সারাজীবন সংগ্রাম করেছি একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য। আজ যে বাংলাদেশ আমরা দেখছি, সেই স্বপ্ন আমি কোনো দিন দেখিনি। আজ আঘাত এসেছে শুধু ডেইলি স্টার বা প্রথম আলোর ওপর নয়, আঘাত এসেছে গণতন্ত্রের ওপর। স্বাধীনভাবে চিন্তা করার অধিকার ও কথা বলার অধিকার আবারও আক্রান্ত হয়েছে।”

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “জুলাই যুদ্ধ ছিল এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। আজ সেই জায়গাতেই আঘাত এসেছে। এটি কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের বিষয় নয়। সব গণতান্ত্রিক চিন্তার মানুষকে এখন ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা অন্ধকার থেকে আলোতে আসতে চায়, তাদের সবাইকে এক কাতারে দাঁড়াতে হবে।”

সভাটি সঞ্চালনা করেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। এতে আরও বক্তব্য দেন প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, মানবাধিকারকর্মী রেহনুমা আহমেদ, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা-১০ আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া

‘মধ্যযুগীয় কায়দার বর্বরতা’—নূরুল কবীর

সপ্রকাশিত হয়েছে: ০১:০০:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫


দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম প্রথম আলোডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংঘটিত হামলাকে ‘মধ্যযুগীয় কায়দার’ বর্বরতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন সংবাদপত্র সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর। তিনি বলেন, এ ধরনের হামলা শুধু সংবাদমাধ্যম নয়, পুরো সমাজ ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য ভয়ংকর বার্তা বহন করে।

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। দেশে চলমান ‘মব ভায়োলেন্স’-এর প্রতিবাদে সম্পাদক পরিষদ ও নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।

সভায় সূচনা বক্তব্যে নূরুল কবীর বলেন, “হামলাকারীরা মধ্যযুগীয় কায়দায় পুড়িয়ে মারতে চেয়েছে। যখন অফিসে সবাই কাজ করছিল, তখন চারদিক থেকে আগুন লাগানো হয়েছে। দমকল বাহিনীর প্রবেশের পথ বন্ধ করে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “পৃথিবীর কোনো সমাজ যদি এ ধরনের ঘটনা সহ্য করে এবং এর বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে না দাঁড়ায়, তাহলে শুধু কয়েকটি সংগঠন নয়—পুরো সমাজব্যবস্থা ধ্বংসের দিকে চলে যাবে। সমাজের অগ্রগতির সব সম্ভাবনাই রুদ্ধ হয়ে পড়বে।”

প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “আমরা সারাজীবন সংগ্রাম করেছি একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য। আজ যে বাংলাদেশ আমরা দেখছি, সেই স্বপ্ন আমি কোনো দিন দেখিনি। আজ আঘাত এসেছে শুধু ডেইলি স্টার বা প্রথম আলোর ওপর নয়, আঘাত এসেছে গণতন্ত্রের ওপর। স্বাধীনভাবে চিন্তা করার অধিকার ও কথা বলার অধিকার আবারও আক্রান্ত হয়েছে।”

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “জুলাই যুদ্ধ ছিল এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। আজ সেই জায়গাতেই আঘাত এসেছে। এটি কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের বিষয় নয়। সব গণতান্ত্রিক চিন্তার মানুষকে এখন ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা অন্ধকার থেকে আলোতে আসতে চায়, তাদের সবাইকে এক কাতারে দাঁড়াতে হবে।”

সভাটি সঞ্চালনা করেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। এতে আরও বক্তব্য দেন প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, মানবাধিকারকর্মী রেহনুমা আহমেদ, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।