ঢাজা ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আদালতের মামলা চলমান থাকার পরেও পতেঙ্গায়  জমি দখলের অভিযোগ ইব্রাহিম খলিল ও শামীমা শারমিন মুক্তার বিরুদ্ধে

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা মৌজার একটি জমি নিয়ে জালিয়াতি, ভয়ভীতি ও চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। জমিটির মূল মালিকের নিযুক্ত আমোক্তানামাকারী হাজী মোহাম্মদ ইসমাইল অভিযোগ করেন, ইব্রাহীম খলিল ও তার সহধর্মিণী শামীমা শারমিন মুক্তা (৩১) এবং তাদের সহযোগীরা জাল খাজনার দাখিলা তৈরি করে জমিটি দখল করে সেখানে ঘর নির্মাণ করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, জমি দখলের পর অভিযুক্তরা উল্টো আরও ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিশেষ বাহিনীর ভয় দেখিয়ে গুম করে দেওয়ার হুমকি এবং বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হত্যার ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ কারি জানান গত ’২২ সালে ২৯শে নভেম্বর ৪৯ নং নোটারিকৃত সাধারণ আমোক্তানামা দলিল মূলে হাজী মোহাম্মদ ইসমাইল ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন।আমোক্তানামাদাতাগনের পূর্বের ওয়ারিশ ছালেহ আহাম্মদ এর নামে গত ০৭-১১-১৯৬৯ ইং সনের ১১১ নং রেজিস্টারীকৃত খরিদা দলিল মুলে মালিক হন। এই দলিলের ওয়ারিশগন বি এস সংশোধনী এবং দলিল ও নামজারী বাতিলের জন্য গত ১৪-০১-২০২৫ইং তারিখে মাননীয় বিজ্ঞ ৩য় সিনিয়র সহকারী জজ আদালত চট্টগ্রামে অপর মামলা নং ০৬/২০২৫ দায়ের করেন এবং মামলা চলমান ও আছে। মামলার বাদিরা ও জমির মূল রেকডীয় মালিক গণ বিভিন্ন কাজে ব্যস্তথার কারনে মামলা পরিচালনা করতে অসুবিধার কারনে মামলা পরিচালনা করার জন্য উপরে উল্লেখিত আমোক্তানামা গ্রহীতা হাজী মোহাম্মদ ইসমাইলকে ৪৯ নম্বর আমোক্তার নামা দলিল মুলে মামলা পরিচালনার দায়িত্বভার প্রদান করেন আমোক্তানামা দাতাগন। এমত অবস্থায় হঠাৎ করে একদিন মো: ইব্রাহীম খলিল ও তার স্ত্রী শামীমা শারমিন মুক্তা ও তাদের দল বল নিয়ে মামলা চলমান অবস্থায় জমিটি ক্রয় করেছে বলে জমি দখল করার চেষ্টা চালায়।
এক পর্যায়ে ইব্রাহীমের লোকজন জমির আমোক্তানামা গ্রহীতা হাজী মোহাম্মদ ইসমাইল ও তার ছেলে ইমরান কে হাতাহাতি ও মারধর করে ভয়ভীতির সৃষ্টি করে এবংবিশেষবাহিনীর হুমকি দিয়ে মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। জমির দখল ছেড়ে দিয়ে আরো দশ লক্ষ টাকার চাঁদা দাবী করেন বলে জানান জমির আমোক্তানামা গ্রহীতা হাজী মোহাম্মদ ইসমাইল ও তার ছেলে মোহাম্মদ ইমরান।
এই ঘটনায় তাঁরা দিশেহারা হয়ে গত ৩-১২-২০২৪ ইং তারিখে জমি দখলকারীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট এর আদালতে ১৬০৬/২৪ মামলামূলে ফৌ:কা:বি: ১৪৫ ধারা মোতাবেক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন মো: ইব্রাহীম খলিল ও তার স্ত্রী শামীমা শারমিন মুক্তা গংদের বিরুদ্ধে। চাঁদা না দেওয়ার কারনে এবং মামলা করার কারণে জমির আমোক্তানামাকারী ইসমাইল ও তার ছেলে ইমরানসহ পরিবারের সদস্যদের গুম, খুন করার হুমকি দেয়। ইসমাইল গংরা আইনকে শ্রদ্বা জানিয়ে অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্টেট আমলী আদালতে চট্টগ্রামে ১৪৩/৪৪৭/৪২৭/৩৩২/৩৮৫/৫০৬/১০৯/৩৪ ধারা দঃ বিঃ সি আর মামলা রুজু করে, যার মামলা নং ৮১/২০২৫ হয়। মামলা চলাকালীন অবস্থায় আইন আমান্য করে পতেঙ্গা থানাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে জোরপূর্বক রাতের আধারে জনবল নিয়ে জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করছে বলে জানান ভোক্তভোগী পরিবার ও এলাকার লোকজন।
মামলার তদন্তে রিপোর্টে জানা যায়, ইব্রাহীম খলিল হচ্ছেন একজন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা বাংলাদেশ নেভী, ঈসা খাঁ গেইট’ P/O NO: ২০০৪০০৮৯, REA-III থানা: ইপিজেড, চট্টগ্রাম। ইব্রাহীম খলিল (সুমন)কুমিল্লা জেলার বাসিন্দার বলে জানা গেছে। তাঁর পিতার নাম: মোহাম্মদ আবদুল কাদের মাতার নাম: মোছাম্মৎ আনোয়ারা বেগম গ্রাম: শশীদল, পূর্বপাড়া, বড় বাড়ি, ডাকঘর: ব্রাক্ষনপাড়া, থানা: ব্রাহ্মনপাড়া, জেলা: কুমিল্লা। বর্তমানে তিনি বসবাস করেন দক্ষিণ পতেঙ্গা, ডেইলপাড়া, আনসার আলী সেরাং এর নতুন বাড়ি, ৪১নং ওয়ার্ড থানা: পতেঙ্গা চট্টগ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন।
জানা যায় আমোক্তানামা গ্রহীতা হাজী মোহাম্মদ ইসমাইল (৫২) পিতা: মরহুম খুলু মিয়া মাতা: মোছাম্মৎ মরহুম কুলছুমা খাতুন সাং জিএম গেইট, ডাকঘর: উত্তর পতেঙ্গা ৪২০৮,থানা : উত্তর পতেঙ্গা জেলা: চট্টগ্রাম গত ২৮-১১-২০২২ ইংরেজি তারিখে খতিয়ানে রেকর্ডীয় মালিক সূত্রে পাওয়া এবং খরিদা রেকর্ডীয় মালিকের ওয়ারিশগন থেকে বাংলাদেশের রীতিনীতি অনুযায়ী প্রাপ্য অংশের মরহুম ছালেহ আহম্মদ এর ছেলে জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ সাইফুউদ্দিন, মোহাম্মদ রবিউল হাসান এবং মরিয়ম বেগম স্বামী : মরহুম মোহাম্মদ সেলিম ও আসাদুজ্জামান সাগর পিতা: মরহুম মোহাম্মদ সেলিম উল্লেখিত ৫জন ব্যাক্তি জমির মালিকেনা দাতাগনের কাছ থেকে আমোক্তানামা গ্রহন করেন হাজী মোহাম্মদ ইসমাইল।
জানা যায়, আমোক্তানামা ওয়ারিশগন প্রায় প্রবাসী দাতাগনের সুবিধার্থে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে স্ব-ইচ্ছায় তাদের প্রাপ্য অংশের জমি জমার মামলা মোকদ্দমা পরিচালনা করা,হেবা,দানপত্র,বেচা বিক্রি ইত্যাদি পরিচালনা করার জন্য আমোক্তানামা প্রদান করেন। যার নোটারিকৃত আমোক্তানামা নং ৪৯, তারিখ: ২৮-১১-২০২২ ইংরেজি তারিখ সম্পাদিত হয়। আমোক্তানামা গ্রহীতার পক্ষে এডভোকেট মোহাম্মদ ইউনুছ এর আইনগত মতামতের ভিত্তিতে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আমোক্তানামা দাতাগনের পূর্বের খরিদা দলিল নং ১১১ তারিখ:০৭-১১-১৯৬৯ইং রেজি যাহার আর এস খতিয়ান নং ২৬৪৯. (আর এস খতিয়ানে মুল মালিক ছিলেন যথাক্রমে আমিন উল্ল্যাহ ও তৎ পুত্র ইয়াকুব আলী) পি এস খতিয়ান নং: ৬৮/৮৭(পি এস খতিয়ানে রেকডীয় মালিক ছিলেন যথাক্রমে নুর চ্ছফা ও নুর নাহার),বি এস খতিয়ান নং: ১৫৭০ (বি এস দাগ নং ৬০৯৩/৬০৯৪ বটে) বি এস খতিয়ানে ও নুরুচ্ছফার নাম ও লিপিবদ্ব আছে। নিম্নে তপশীলোক্ত নালিশী জমি পতেঙ্গা থানাধীন দক্ষিণ পতেঙ্গা মৌজার স্থিতি হয়।
উল্লেখিত তফশীলের আর এস ৪৫৬৩ দাগের ১৭শতাংশের সম্পত্তির মুল মালিক ছিলেন আমিন উল্লা। অনুমতি দখলদার হিসেবে মালিক ছিলেন ৪৫৬৩ দাগের ১৭ শতাংশের তৎপুত্র ইয়াকুব আলী এবং ৪৫৬৪ দাগের ১৪ শতাংশের তৎপুত্র আমিন উল্লা। তৎ প্রমানে আর এস ২৬৪৯ নং খতিয়ানের স্বর্তের কলামে ও মন্তব্য কলামে যথারীতি তাদের নাম প্রচারিত আছে। পরবর্তীতে এই এয়াকুব আলী মৃত্যু বরণ করলে তৎ ত্যাজ্য বিত্তে তৎ ১ কন্যা নুর নাহার ও ৩ ভ্রাতা যথাক্রমে : আমিন উল্লা, রায়মোল্লা ও ফয়েজ উল্লা ওয়ারিশ বিদ্যমান থাকে। কিন্তু তাদের পারিবারিক অপরাপর সম্পত্তির সঙ্গে পারিবারিক আপোষ বন্টন মতে উক্ত আর এস ৪৫৬৩ দাগের ১৭ শতাংশ সম্পত্তি উক্ত নুরু নাহার এককভাবে প্রাপ্ত হয়। একই ভাবে উক্ত আমিন উল্লা মৃত্যু বরন করলে তৎ ত্যাজ্য বিত্তে তৎ ১ পুত্র নুরুচ্ছপা এবং ৩ কন্যা যথাক্রমে লায়লা, রাবেয়া ও মাজেদা ওয়ারিশ বিদ্যমান থাকে। কিন্তু তাদের পারিবারিক অপরাপর সম্পত্তির সঙ্গে পারিবারিক আপোষ বন্টন মতে উক্ত আর এস ৪৫৬৪ দাগের ১৪ শতাংশ সম্পত্তির উক্ত নুরুচ্ছপা এককভাবে প্রাপ্ত হয়। উল্লেখ্য উক্ত নুরুচ্ছপা তৎ চাচা ইয়াকুব আলীর কন্যা নুরু নাহারকে বিবাহ করেন ।
সেই হিসেবে পিএস জরিপকালে তফসিলক্ত সম্পত্তির সংক্রান্তে তাদের নামে পিএস জরিপে ৬৮/৮৭ নং খতিয়ান প্রচারিত হয়। যেহেতু উভয় দাগের সমুদয় সম্পত্তির মালিক পরস্পর স্বামী-স্ত্রী, তাই সমুদয় সম্পত্তি উক্ত নূরুছ্ছফা চাষাবাদ করতেন। সেহেতু উক্ত পিএস জরিপের ৬৮/৬৭নং খতিয়ানের মন্তব্য কলামে উক্ত পিএস ৫০৬৫ দাগের ১৭ শতাংশ ও ৫০৬৬ দাগের ১৪ শতাংশ সম্পত্তি সংক্রান্তে মন্তব্য কলামে শুধুমাত্র নুরুচ্ছফা এর নাম লিপিবদ্ধ হয়।
উক্ত ভাবে ওয়ারিশ সূত্রে তফসিলক্ত সম্পত্তি প্রাপ্ত হয়ে উক্ত নূরু চ্ছফা ও তৎ স্ত্রী উক্ত নুরু ন্নাহার স্বামী-স্ত্রী উভয়ে একত্রে বিগত ০৭/১১/১৯৬৯ইং তারিখে রেজিষ্ট্রিকৃত ১১১ নং কবলা মূলে উক্ত (১৭ + ১৪)= ৩১ শতাংশ সম্পত্তি স্থানীয় মৃত আব্দুল গনি এর পুত্র সালে আহাম্মদ এর নিকট বিক্রয় করে দখল অর্পণ করে।
উক্ত সালে আহাম্মদ মৃত্যুতে তৎ পাঁচ পুত্র মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, সাইফুল উদ্দিন, রবিউল হাসান, মোহাম্মদ সেলিম ও মোহাম্মদ নিজাম এবং সাত কন্যা, যথাক্রমে তাজিয়া বেগম, হোসনে আরা বেগম, রওশন আরা বেগম, তসলিম আরা বেগম, পারভীন আরা বেগম, কোহিনুর আক্তার ডলি, জেসমিন আক্তার ওয়ারিশ বিদ্যমান থাকে।
পরবর্তীতে উক্ত মোহাম্মদ সেলিম মৃত্যুবরণ করলে তৎত্যাজ্য বিত্তে তৎ ১ স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও ১ পুত্র আসাদুজ্জামান সাগর ওয়ারিশ বিদ্যমান থাকে। উল্লেখ্য উপরোক্ত ওয়ারিশগণের মধ্যে ১ থেকে ৫ নং বাদীগণ ছাড়া অপরাপর ওয়ারিসগণ প্রবাসে থাকায় তাদের সম্মতি নিয়ে তাদের পক্ষে তফশীলোক্ত সম্পত্তি সংক্রান্ত যাবতীয় আইনগত কার্যাদি সম্পন্ন করার জন্য বিগত ২৯/১১/২০২২ ইং তারিখের ৪৯ নং নোটারীকৃত আমোক্তারনামা মূলে মোহাম্মদ ইসমাইলকে আমোক্তার নিয়োগ করেন।
মতামত প্রার্থনাকারীর ১১১ নং দলিলের অনুবলে বিএস খতিয়ান সৃজিত না হওয়ায় ৩য় সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে বিবাদীর দলিল অকার্যকর ও সত্য ঘোষণা চেয়ে বাদী অপর মামলা নং ৬/২৫ দায়ের করেছেন, যাতে নিষেধাজ্ঞা আবেদন দায়ের করা হয়েছে।
অপরদিকে আমির আহমদ নুরু ন্নাহার হতে বিগত ৩০/০৮/১৯৭৮ইং তারিখে দলিল নং ৯৬০৩ এবং ২৯/০৫/১৯৯৭ ইং তারিখে দলিল নং ৩৩৩৩ দলিল মূলে আমির আহম্মদ কাদের সিদ্দিকির বরাবরে বিক্রি করেছেন । উক্ত কাদের সিদ্দিকী শামীমা শারমিন মুক্তার বরাবরে গত ২৯/০৭/২০১৮ তারিখে ১০১০৬ নং হেবা দলিল করে দেয়।
উক্ত নরুন্নাহার ১১১ নং দলিল মূলে ৭/১১/১৯৬৯ তারিখে বিক্রি করে স্বর্ত হারা হয়ে পরবর্তীতে উক্ত নরুন্নাহার হতে গত ০৩/০৮/১৯৭৮ ইং তারিখে শর্ত ও স্বার্থ বিহীন মালিক থেকে কবলা করেন, যা আইনসিদ্ধ নহে।
সম্পত্তি হস্তান্তর আইন ৪৮ ধারার বিধান মতে পূর্বের দলিলকে সম্পত্তির মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়ার পর অবশিষ্ট সম্পত্তি থাকলে পরবর্তীতে ক্রেতা মালিক হবেন। যেহেতু মতামত প্রার্থনাকারী পূর্বের খরিদ্দার, সেহেতু তার আবেদন সর্বাঙ্গে বিবেচিত হবে। সেহেতু এতদ বিষয়ে অপর মামলা ০৬/২৫ তারিখ ১৪-১-২০২৫ মামলার এজাহারে দলিল বাতিল ও বি এস নামজারী বাতিল সহ আদালতে মামলা বিদ্যমান রয়েছে। অত্র মোকোদ্দমার বিষয়টি আদালতের এখতিয়ারাধীন রইল।
অপরদিকে আমোক্তানামাকারী হাজী মোঃ ইসমাইল বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিএমএম আদালতে গত ২-২-২০২৫ইং তারিখে সিআর মামলা ৮১/২০২৫, পতেঙ্গা থানা, ধারা ৫০৬ দন্ডবিধি দায়ের করেছেন। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ মতে এই মামলায় থানা কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে পুলিশ প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন। পতেঙ্গা থানা রিপোর্টে বলা হয় শামীমা শারমিন মুক্তার নামে হেবা দলিল মুক্তার স্বামীর নাম মো:ইব্রাহিম খলিল উনি একজন নৌবাহিনীর কর্মচারী/ কর্মকর্তা বলে রিপোটে জানা গেছে। এই ব্যাপারে ইব্রাহীম খলিলের সাথে মুটোফোনে কথা বললে উনি জানান এই জমিটি আমার শাশুর আমার আমার স্ত্রীকে হেবা করে দিয়েছেন সেই সূত্রে আমার স্ত্রী ঘর নিমান করতে গিয়েছিলাম প্রতিপক্ষ ইসমাইল থানায় এবং কোডে দুইটি মামলা করে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছিলেন এবং পতেঙ্গা থানা এসেছিল জমির মধ্যে উভয় পক্ষ কে বসে ঠিক করতে বলেছিলেন। মাঝখানে বিবাদী ইসমাইল আমার স্ত্রী শামীমা শারমিন মুক্তাকে হুমকি দেওয়ার কারনে আমার স্ত্রী যৌথবাহিনীকে ফোন করে গঠনাস্থলে নিয়ে আসেন আদালতে মামলা থাকলে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বলেন । আমার স্ত্রীর ঘর না থাকার কারনে উনার বাপের জমির উপর একটা ছোট টিন সেট বানায়। আর কোন কাজ আমরা করিনি।জমি দখল করে জমির উপর সাইনবোর্ড দিয়ে তার নামের নীচে সাইন বোর্ডের মধ্যে নৌবাহিনী লিখা আছে।
তফশীল: মৌজা দক্ষিণ পতেঙ্গা,থানা বন্দর (বর্তমান পতেঙ্গা), জেলা চট্টগ্রাম, আরএস খতিয়ান নং-২৬৪৯, আর এস দাগ নং ৪৫৬৩ পি এস খতিয়ান নং ৬৮, পিএস দাগ নং ৫০৬৫,বিএস খতিয়ান নং ১৫৭০ বিএস দাগ নং ৬০৯৩ দাগের আন্দর ৩১ শতক বা ১৫ গন্ডা । তৎআন্দর ১৩ শতক বা ৬ .৫ গন্ডা বা নাল জমি দাবিকৃত ।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা-১০ আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া

আদালতের মামলা চলমান থাকার পরেও পতেঙ্গায়  জমি দখলের অভিযোগ ইব্রাহিম খলিল ও শামীমা শারমিন মুক্তার বিরুদ্ধে

সপ্রকাশিত হয়েছে: ০১:৫০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা মৌজার একটি জমি নিয়ে জালিয়াতি, ভয়ভীতি ও চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। জমিটির মূল মালিকের নিযুক্ত আমোক্তানামাকারী হাজী মোহাম্মদ ইসমাইল অভিযোগ করেন, ইব্রাহীম খলিল ও তার সহধর্মিণী শামীমা শারমিন মুক্তা (৩১) এবং তাদের সহযোগীরা জাল খাজনার দাখিলা তৈরি করে জমিটি দখল করে সেখানে ঘর নির্মাণ করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, জমি দখলের পর অভিযুক্তরা উল্টো আরও ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিশেষ বাহিনীর ভয় দেখিয়ে গুম করে দেওয়ার হুমকি এবং বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হত্যার ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ কারি জানান গত ’২২ সালে ২৯শে নভেম্বর ৪৯ নং নোটারিকৃত সাধারণ আমোক্তানামা দলিল মূলে হাজী মোহাম্মদ ইসমাইল ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন।আমোক্তানামাদাতাগনের পূর্বের ওয়ারিশ ছালেহ আহাম্মদ এর নামে গত ০৭-১১-১৯৬৯ ইং সনের ১১১ নং রেজিস্টারীকৃত খরিদা দলিল মুলে মালিক হন। এই দলিলের ওয়ারিশগন বি এস সংশোধনী এবং দলিল ও নামজারী বাতিলের জন্য গত ১৪-০১-২০২৫ইং তারিখে মাননীয় বিজ্ঞ ৩য় সিনিয়র সহকারী জজ আদালত চট্টগ্রামে অপর মামলা নং ০৬/২০২৫ দায়ের করেন এবং মামলা চলমান ও আছে। মামলার বাদিরা ও জমির মূল রেকডীয় মালিক গণ বিভিন্ন কাজে ব্যস্তথার কারনে মামলা পরিচালনা করতে অসুবিধার কারনে মামলা পরিচালনা করার জন্য উপরে উল্লেখিত আমোক্তানামা গ্রহীতা হাজী মোহাম্মদ ইসমাইলকে ৪৯ নম্বর আমোক্তার নামা দলিল মুলে মামলা পরিচালনার দায়িত্বভার প্রদান করেন আমোক্তানামা দাতাগন। এমত অবস্থায় হঠাৎ করে একদিন মো: ইব্রাহীম খলিল ও তার স্ত্রী শামীমা শারমিন মুক্তা ও তাদের দল বল নিয়ে মামলা চলমান অবস্থায় জমিটি ক্রয় করেছে বলে জমি দখল করার চেষ্টা চালায়।
এক পর্যায়ে ইব্রাহীমের লোকজন জমির আমোক্তানামা গ্রহীতা হাজী মোহাম্মদ ইসমাইল ও তার ছেলে ইমরান কে হাতাহাতি ও মারধর করে ভয়ভীতির সৃষ্টি করে এবংবিশেষবাহিনীর হুমকি দিয়ে মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। জমির দখল ছেড়ে দিয়ে আরো দশ লক্ষ টাকার চাঁদা দাবী করেন বলে জানান জমির আমোক্তানামা গ্রহীতা হাজী মোহাম্মদ ইসমাইল ও তার ছেলে মোহাম্মদ ইমরান।
এই ঘটনায় তাঁরা দিশেহারা হয়ে গত ৩-১২-২০২৪ ইং তারিখে জমি দখলকারীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট এর আদালতে ১৬০৬/২৪ মামলামূলে ফৌ:কা:বি: ১৪৫ ধারা মোতাবেক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন মো: ইব্রাহীম খলিল ও তার স্ত্রী শামীমা শারমিন মুক্তা গংদের বিরুদ্ধে। চাঁদা না দেওয়ার কারনে এবং মামলা করার কারণে জমির আমোক্তানামাকারী ইসমাইল ও তার ছেলে ইমরানসহ পরিবারের সদস্যদের গুম, খুন করার হুমকি দেয়। ইসমাইল গংরা আইনকে শ্রদ্বা জানিয়ে অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্টেট আমলী আদালতে চট্টগ্রামে ১৪৩/৪৪৭/৪২৭/৩৩২/৩৮৫/৫০৬/১০৯/৩৪ ধারা দঃ বিঃ সি আর মামলা রুজু করে, যার মামলা নং ৮১/২০২৫ হয়। মামলা চলাকালীন অবস্থায় আইন আমান্য করে পতেঙ্গা থানাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে জোরপূর্বক রাতের আধারে জনবল নিয়ে জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করছে বলে জানান ভোক্তভোগী পরিবার ও এলাকার লোকজন।
মামলার তদন্তে রিপোর্টে জানা যায়, ইব্রাহীম খলিল হচ্ছেন একজন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা বাংলাদেশ নেভী, ঈসা খাঁ গেইট’ P/O NO: ২০০৪০০৮৯, REA-III থানা: ইপিজেড, চট্টগ্রাম। ইব্রাহীম খলিল (সুমন)কুমিল্লা জেলার বাসিন্দার বলে জানা গেছে। তাঁর পিতার নাম: মোহাম্মদ আবদুল কাদের মাতার নাম: মোছাম্মৎ আনোয়ারা বেগম গ্রাম: শশীদল, পূর্বপাড়া, বড় বাড়ি, ডাকঘর: ব্রাক্ষনপাড়া, থানা: ব্রাহ্মনপাড়া, জেলা: কুমিল্লা। বর্তমানে তিনি বসবাস করেন দক্ষিণ পতেঙ্গা, ডেইলপাড়া, আনসার আলী সেরাং এর নতুন বাড়ি, ৪১নং ওয়ার্ড থানা: পতেঙ্গা চট্টগ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন।
জানা যায় আমোক্তানামা গ্রহীতা হাজী মোহাম্মদ ইসমাইল (৫২) পিতা: মরহুম খুলু মিয়া মাতা: মোছাম্মৎ মরহুম কুলছুমা খাতুন সাং জিএম গেইট, ডাকঘর: উত্তর পতেঙ্গা ৪২০৮,থানা : উত্তর পতেঙ্গা জেলা: চট্টগ্রাম গত ২৮-১১-২০২২ ইংরেজি তারিখে খতিয়ানে রেকর্ডীয় মালিক সূত্রে পাওয়া এবং খরিদা রেকর্ডীয় মালিকের ওয়ারিশগন থেকে বাংলাদেশের রীতিনীতি অনুযায়ী প্রাপ্য অংশের মরহুম ছালেহ আহম্মদ এর ছেলে জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ সাইফুউদ্দিন, মোহাম্মদ রবিউল হাসান এবং মরিয়ম বেগম স্বামী : মরহুম মোহাম্মদ সেলিম ও আসাদুজ্জামান সাগর পিতা: মরহুম মোহাম্মদ সেলিম উল্লেখিত ৫জন ব্যাক্তি জমির মালিকেনা দাতাগনের কাছ থেকে আমোক্তানামা গ্রহন করেন হাজী মোহাম্মদ ইসমাইল।
জানা যায়, আমোক্তানামা ওয়ারিশগন প্রায় প্রবাসী দাতাগনের সুবিধার্থে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে স্ব-ইচ্ছায় তাদের প্রাপ্য অংশের জমি জমার মামলা মোকদ্দমা পরিচালনা করা,হেবা,দানপত্র,বেচা বিক্রি ইত্যাদি পরিচালনা করার জন্য আমোক্তানামা প্রদান করেন। যার নোটারিকৃত আমোক্তানামা নং ৪৯, তারিখ: ২৮-১১-২০২২ ইংরেজি তারিখ সম্পাদিত হয়। আমোক্তানামা গ্রহীতার পক্ষে এডভোকেট মোহাম্মদ ইউনুছ এর আইনগত মতামতের ভিত্তিতে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আমোক্তানামা দাতাগনের পূর্বের খরিদা দলিল নং ১১১ তারিখ:০৭-১১-১৯৬৯ইং রেজি যাহার আর এস খতিয়ান নং ২৬৪৯. (আর এস খতিয়ানে মুল মালিক ছিলেন যথাক্রমে আমিন উল্ল্যাহ ও তৎ পুত্র ইয়াকুব আলী) পি এস খতিয়ান নং: ৬৮/৮৭(পি এস খতিয়ানে রেকডীয় মালিক ছিলেন যথাক্রমে নুর চ্ছফা ও নুর নাহার),বি এস খতিয়ান নং: ১৫৭০ (বি এস দাগ নং ৬০৯৩/৬০৯৪ বটে) বি এস খতিয়ানে ও নুরুচ্ছফার নাম ও লিপিবদ্ব আছে। নিম্নে তপশীলোক্ত নালিশী জমি পতেঙ্গা থানাধীন দক্ষিণ পতেঙ্গা মৌজার স্থিতি হয়।
উল্লেখিত তফশীলের আর এস ৪৫৬৩ দাগের ১৭শতাংশের সম্পত্তির মুল মালিক ছিলেন আমিন উল্লা। অনুমতি দখলদার হিসেবে মালিক ছিলেন ৪৫৬৩ দাগের ১৭ শতাংশের তৎপুত্র ইয়াকুব আলী এবং ৪৫৬৪ দাগের ১৪ শতাংশের তৎপুত্র আমিন উল্লা। তৎ প্রমানে আর এস ২৬৪৯ নং খতিয়ানের স্বর্তের কলামে ও মন্তব্য কলামে যথারীতি তাদের নাম প্রচারিত আছে। পরবর্তীতে এই এয়াকুব আলী মৃত্যু বরণ করলে তৎ ত্যাজ্য বিত্তে তৎ ১ কন্যা নুর নাহার ও ৩ ভ্রাতা যথাক্রমে : আমিন উল্লা, রায়মোল্লা ও ফয়েজ উল্লা ওয়ারিশ বিদ্যমান থাকে। কিন্তু তাদের পারিবারিক অপরাপর সম্পত্তির সঙ্গে পারিবারিক আপোষ বন্টন মতে উক্ত আর এস ৪৫৬৩ দাগের ১৭ শতাংশ সম্পত্তি উক্ত নুরু নাহার এককভাবে প্রাপ্ত হয়। একই ভাবে উক্ত আমিন উল্লা মৃত্যু বরন করলে তৎ ত্যাজ্য বিত্তে তৎ ১ পুত্র নুরুচ্ছপা এবং ৩ কন্যা যথাক্রমে লায়লা, রাবেয়া ও মাজেদা ওয়ারিশ বিদ্যমান থাকে। কিন্তু তাদের পারিবারিক অপরাপর সম্পত্তির সঙ্গে পারিবারিক আপোষ বন্টন মতে উক্ত আর এস ৪৫৬৪ দাগের ১৪ শতাংশ সম্পত্তির উক্ত নুরুচ্ছপা এককভাবে প্রাপ্ত হয়। উল্লেখ্য উক্ত নুরুচ্ছপা তৎ চাচা ইয়াকুব আলীর কন্যা নুরু নাহারকে বিবাহ করেন ।
সেই হিসেবে পিএস জরিপকালে তফসিলক্ত সম্পত্তির সংক্রান্তে তাদের নামে পিএস জরিপে ৬৮/৮৭ নং খতিয়ান প্রচারিত হয়। যেহেতু উভয় দাগের সমুদয় সম্পত্তির মালিক পরস্পর স্বামী-স্ত্রী, তাই সমুদয় সম্পত্তি উক্ত নূরুছ্ছফা চাষাবাদ করতেন। সেহেতু উক্ত পিএস জরিপের ৬৮/৬৭নং খতিয়ানের মন্তব্য কলামে উক্ত পিএস ৫০৬৫ দাগের ১৭ শতাংশ ও ৫০৬৬ দাগের ১৪ শতাংশ সম্পত্তি সংক্রান্তে মন্তব্য কলামে শুধুমাত্র নুরুচ্ছফা এর নাম লিপিবদ্ধ হয়।
উক্ত ভাবে ওয়ারিশ সূত্রে তফসিলক্ত সম্পত্তি প্রাপ্ত হয়ে উক্ত নূরু চ্ছফা ও তৎ স্ত্রী উক্ত নুরু ন্নাহার স্বামী-স্ত্রী উভয়ে একত্রে বিগত ০৭/১১/১৯৬৯ইং তারিখে রেজিষ্ট্রিকৃত ১১১ নং কবলা মূলে উক্ত (১৭ + ১৪)= ৩১ শতাংশ সম্পত্তি স্থানীয় মৃত আব্দুল গনি এর পুত্র সালে আহাম্মদ এর নিকট বিক্রয় করে দখল অর্পণ করে।
উক্ত সালে আহাম্মদ মৃত্যুতে তৎ পাঁচ পুত্র মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, সাইফুল উদ্দিন, রবিউল হাসান, মোহাম্মদ সেলিম ও মোহাম্মদ নিজাম এবং সাত কন্যা, যথাক্রমে তাজিয়া বেগম, হোসনে আরা বেগম, রওশন আরা বেগম, তসলিম আরা বেগম, পারভীন আরা বেগম, কোহিনুর আক্তার ডলি, জেসমিন আক্তার ওয়ারিশ বিদ্যমান থাকে।
পরবর্তীতে উক্ত মোহাম্মদ সেলিম মৃত্যুবরণ করলে তৎত্যাজ্য বিত্তে তৎ ১ স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও ১ পুত্র আসাদুজ্জামান সাগর ওয়ারিশ বিদ্যমান থাকে। উল্লেখ্য উপরোক্ত ওয়ারিশগণের মধ্যে ১ থেকে ৫ নং বাদীগণ ছাড়া অপরাপর ওয়ারিসগণ প্রবাসে থাকায় তাদের সম্মতি নিয়ে তাদের পক্ষে তফশীলোক্ত সম্পত্তি সংক্রান্ত যাবতীয় আইনগত কার্যাদি সম্পন্ন করার জন্য বিগত ২৯/১১/২০২২ ইং তারিখের ৪৯ নং নোটারীকৃত আমোক্তারনামা মূলে মোহাম্মদ ইসমাইলকে আমোক্তার নিয়োগ করেন।
মতামত প্রার্থনাকারীর ১১১ নং দলিলের অনুবলে বিএস খতিয়ান সৃজিত না হওয়ায় ৩য় সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে বিবাদীর দলিল অকার্যকর ও সত্য ঘোষণা চেয়ে বাদী অপর মামলা নং ৬/২৫ দায়ের করেছেন, যাতে নিষেধাজ্ঞা আবেদন দায়ের করা হয়েছে।
অপরদিকে আমির আহমদ নুরু ন্নাহার হতে বিগত ৩০/০৮/১৯৭৮ইং তারিখে দলিল নং ৯৬০৩ এবং ২৯/০৫/১৯৯৭ ইং তারিখে দলিল নং ৩৩৩৩ দলিল মূলে আমির আহম্মদ কাদের সিদ্দিকির বরাবরে বিক্রি করেছেন । উক্ত কাদের সিদ্দিকী শামীমা শারমিন মুক্তার বরাবরে গত ২৯/০৭/২০১৮ তারিখে ১০১০৬ নং হেবা দলিল করে দেয়।
উক্ত নরুন্নাহার ১১১ নং দলিল মূলে ৭/১১/১৯৬৯ তারিখে বিক্রি করে স্বর্ত হারা হয়ে পরবর্তীতে উক্ত নরুন্নাহার হতে গত ০৩/০৮/১৯৭৮ ইং তারিখে শর্ত ও স্বার্থ বিহীন মালিক থেকে কবলা করেন, যা আইনসিদ্ধ নহে।
সম্পত্তি হস্তান্তর আইন ৪৮ ধারার বিধান মতে পূর্বের দলিলকে সম্পত্তির মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়ার পর অবশিষ্ট সম্পত্তি থাকলে পরবর্তীতে ক্রেতা মালিক হবেন। যেহেতু মতামত প্রার্থনাকারী পূর্বের খরিদ্দার, সেহেতু তার আবেদন সর্বাঙ্গে বিবেচিত হবে। সেহেতু এতদ বিষয়ে অপর মামলা ০৬/২৫ তারিখ ১৪-১-২০২৫ মামলার এজাহারে দলিল বাতিল ও বি এস নামজারী বাতিল সহ আদালতে মামলা বিদ্যমান রয়েছে। অত্র মোকোদ্দমার বিষয়টি আদালতের এখতিয়ারাধীন রইল।
অপরদিকে আমোক্তানামাকারী হাজী মোঃ ইসমাইল বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিএমএম আদালতে গত ২-২-২০২৫ইং তারিখে সিআর মামলা ৮১/২০২৫, পতেঙ্গা থানা, ধারা ৫০৬ দন্ডবিধি দায়ের করেছেন। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ মতে এই মামলায় থানা কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে পুলিশ প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন। পতেঙ্গা থানা রিপোর্টে বলা হয় শামীমা শারমিন মুক্তার নামে হেবা দলিল মুক্তার স্বামীর নাম মো:ইব্রাহিম খলিল উনি একজন নৌবাহিনীর কর্মচারী/ কর্মকর্তা বলে রিপোটে জানা গেছে। এই ব্যাপারে ইব্রাহীম খলিলের সাথে মুটোফোনে কথা বললে উনি জানান এই জমিটি আমার শাশুর আমার আমার স্ত্রীকে হেবা করে দিয়েছেন সেই সূত্রে আমার স্ত্রী ঘর নিমান করতে গিয়েছিলাম প্রতিপক্ষ ইসমাইল থানায় এবং কোডে দুইটি মামলা করে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছিলেন এবং পতেঙ্গা থানা এসেছিল জমির মধ্যে উভয় পক্ষ কে বসে ঠিক করতে বলেছিলেন। মাঝখানে বিবাদী ইসমাইল আমার স্ত্রী শামীমা শারমিন মুক্তাকে হুমকি দেওয়ার কারনে আমার স্ত্রী যৌথবাহিনীকে ফোন করে গঠনাস্থলে নিয়ে আসেন আদালতে মামলা থাকলে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বলেন । আমার স্ত্রীর ঘর না থাকার কারনে উনার বাপের জমির উপর একটা ছোট টিন সেট বানায়। আর কোন কাজ আমরা করিনি।জমি দখল করে জমির উপর সাইনবোর্ড দিয়ে তার নামের নীচে সাইন বোর্ডের মধ্যে নৌবাহিনী লিখা আছে।
তফশীল: মৌজা দক্ষিণ পতেঙ্গা,থানা বন্দর (বর্তমান পতেঙ্গা), জেলা চট্টগ্রাম, আরএস খতিয়ান নং-২৬৪৯, আর এস দাগ নং ৪৫৬৩ পি এস খতিয়ান নং ৬৮, পিএস দাগ নং ৫০৬৫,বিএস খতিয়ান নং ১৫৭০ বিএস দাগ নং ৬০৯৩ দাগের আন্দর ৩১ শতক বা ১৫ গন্ডা । তৎআন্দর ১৩ শতক বা ৬ .৫ গন্ডা বা নাল জমি দাবিকৃত ।