• মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
অসংখ্য হেভিওয়েট নেতার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে : দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য গণভোটে কী ধরনের প্রশ্ন থাকবে : খসড়া প্রস্তাব  আড়াই বছর পর ক্যাম্প ন্যু’তে ফুটবলে ফিরছে বার্সেলোনা বিশ্ব ফিলিস্তিনকে ধ্বংস হতে দিয়েছে ৫০ হাজার দর্শক : পেপ গার্দিওলা কিংবদন্তি আসলামের ভবিষ্যদ্বাণী : এশিয়ান কাপ  মানবতাবিরোধী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের কপি আজ যাচ্ছে না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে মানবতাবিরোধী হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশে জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়া চূড়ান্ত ভোটার তালিকা আজ প্রকাশ হবে  মিঠামইন উপজেলায়  সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর : কিশোরগঞ্জে হাসিনাসহ ইতিহাসে শাসকদের মৃত্যুদণ্ড 

জনগণের কাছ থেকে আদায়কৃত কর তাদের কল্যাণেই ব্যয় করা হবে : ডিসি আমিরুল কায়সার

স্টাফ রিপোর্টার: / ২৮ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

 

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার বলেন, এক সময় আমাদের দেশের স্থানীয় সরকার কাঠামোর চারটি স্তর ছিল: জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ ও গ্রাম সরকার। এখন গ্রাম সরকারটি কার্যকর নেই, বিলুপ্ত হয়েছে। বর্তমানে তিনটি স্তর রয়েছে। জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ। পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা। এ হলো স্থানীয় সরকার কাঠামো।

তিনি আরও বলেন, যদি আমরা আরও গভীরে যাই, জেলা ও উপজেলা পরিষদও মূলত উপজেলা পর্যায়েই কাজ করে। তার মানে কোন কোন কাজটি ইউনিয়ন পর্যায়ে হচ্ছে তারা এর সাবির্ক তদারকি করে। ইউনিয়ন পরিষদ আমাদের দেশের স্থানীয় সরকার কাঠামোর প্রাচীনতম স্তর। আমাদের সরকার ব্যবস্থাপনার দুইটি নাম। একটি সরকার, অপরটি স্থানীয় সরকার। পৃথিবীর সকল উন্নত দেশে কেন্দ্রীয় সরকার মূলত নীতি নির্ধারণের কাজ করে, স্থানীয় জনগণের সেবামূলক কাজগুলো ইউনিয়ন পরিষদ সম্পাদন করে। স্থানীয় সরকার স্থানীয় পর্যায়ে আয় করবে এবং সেই আয় জনগণের কল্যাণে ব্যয় করবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমরা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর মতো সক্ষম করে তুলতে পারিনি।

সোমবার বিকালে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক/চেয়ারম্যান/প্যানেল চেয়ারম্যান, সদস্যবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, হিসাব সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটরদের জন্য আয়োজিত অবহিতকরণ, স্থানীয় সম্পদ আহরণ ও হিসাব ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার আরও বলেন, এখনও আমাদের স্থানীয় সরকার রিলিফ নির্ভর। আগে রিলিফ আসতো, স্থানীয় সরকারে যারা ছিলাম আমরা তা বিতরণ করতাম। সেই কনসেপ্ট থেকে আমরা এখনও বের হয়ে আসতে পারিনি। টিআর, কাবিখা, এডিবি, জেলা পরিষদ বরাদ্ধ, এসব ছাড়াও স্থানীয় সরকারে যতো আয় হচ্ছে, সেই আয় ও ব্যয়ের হিসাব দেখলে বোঝা যাবে আমাদের কার্যক্রম কতটা স্থায়ী। স্থানীয় সরকার মানেই হলো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি জনগণের কাছ থেকে কর আদায় করবে। নাগরিকদের কাছ থেকে আদায়কৃত সে অর্থ তাদের কল্যাণেই ব্যয় করবে। কল্যাণ বলতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান, পরিবেশ, বিনোদনসহ অন্যান্য সামাজিক কার্যক্রম বোঝায়। স্থানীয় সরকারে অর্থ আদায়ের ব্যবস্থা ও আইন থাকলেও আমরা কতটুকু আদায় করতে পারছি, তা নিয়ে এখনো বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কোর্স পরিচালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মেহেদী মাহমুদ আকন্দ। কোর্স সমন্বয়ক ছিলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জামাল হোসেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাফকাত আলী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জুবায়ের আহমেদ। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের প্রশাসক, চেয়ারম্যান, প্যানেল চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, পরিষদ সচিব, হিসাব সহকারী, কম্পিউটার অপারেটর সহ প্রায় ২০০ জন অংশগ্রহণ করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা