• সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বিআরডিবি কুমিল্লা জেলা সিবিএ’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই: ফখরুল জাহানারা ইসলাম ইন্তেকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের শোক প্রকাশ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন নবীন উদ্যোক্তারা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা হবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা বাবদ ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার এনজিএস সিমেন্ট কোম্পানির ছত্র ছায়ায় এয়ার মোহাম্মদের বিরুদ্ধে জোরপুর্বক জমি দখলের অভিযোগ : আমি আমার জন্য ভোট চাইতে আসিনি আমি ধানের শীষ মার্কায় ভোট চাইতে এসেছি–মোবাশ্বের আলম ভুঁইয়া আওয়ামী সরকার আমলে মানুষের অধিকার হরণ হয়েছিল, গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছিল- ওয়াকিল হোসেন (বগা) চকরিয়ায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু, মুমূর্ষু অবস্থায় শাশুড়ি

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে না

Reporter Name / ৪৭৫ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৮

আসন্ন গাজীপুর সিটি নির্বাচন করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

সাংবিধানিক সংস্থাটি বলছে, সেরকম প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করে ভোটের মাঠের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ব্যবস্থা নেবে তারা।

দুই সিটি নির্বাচনের আগে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

নির্বাচন ভবনে বেলা ১১টা থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে এ সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিজিবি-র‌্যাবের মহাপরিচালকসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশমনার, খুলনা-গাজীপুরের প্রশাসন-পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, “বিগত দিনে আপনাদের সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচন সফল হয়েছে। এই নির্বাচনও সফল হবে বলে আশা করছি। সেই আপনাদের পরামর্শও প্রত্যাশা করছি।”

আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব বলেন, “স্থানীয় নির্বাচনে কোনোভাবেই সেনা মোতায়েন করা হবে না- এ সিদ্ধান্ত রয়েছে কমিশনের। আগেও বলেছি আমরা; বিজিবি-র‌্যাব-পুলিশসহ আধা সামরিক বাহিনী থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক। প্রয়োজনে দেশের যে কোনো এলাকা থেকে আরও বেশি নিরাপত্তা সদস্য আনা হবে।”

আগামী ১৫ মে দুই নগরে অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। সিইসির সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে লিখিত প্রস্তাবও দিয়েছে তারা। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অবস্থান এর বিপরীতে।

এক প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, কমিশনের প্রতি আস্থা রয়েছে বলেই বিএনপি ভোটে অংশ নিচ্ছে।

“আস্থা না থাকলে কেমন হবে! তারা তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী, দল ও প্রার্থীসহ সবাইকে সিইসি বলেছেন- প্রচারে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।”

এদিনের বৈঠকের কার্যপত্রে বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে পুলিশ-এপিবিএন-আনসার ব্যাটালিয়ান সদস্য নিয়ে গঠিত মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে ১৯টি। এছাড়া র‌্যাবের ৫৭টি টিম ও ২৯ প্লাটুন বিজিবি থাকবে।

আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন ও নির্বাচনী অপরাধে তাৎক্ষণিক সাজা দিতে গাজীপুরে ৮৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হবে।

অন্যদিকে খুলনা সিটি করপোরেশনে পুলিশ-এপিবিএন-আনসার ব্যাটালিয়ান সদস্য নিয়ে গঠিত ১০টি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স, র‌্যাবের টিম থাকবে ৩১টি; বিজিবি থাকবে ১৬ প্লাটুন। এছাড়া এ সিটিতে ৪৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০জন বিচাকির ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রতিটি প্লাটুন গঠন করা হয় ২০ থেকে ৩০ জন সদস্য নিয়ে। ভোটের মাঠে প্রতি প্লাটুনে কতজন থাকবেন তা এলাকা অনুযায়ী ঠিক করা হবে।

এসপি হারুণকে প্রত্যাহার নয়

অভিযোগ থাকলেও গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুণ অর রশীদকে প্রত্যাহার না করার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইসি সচিব।

এই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে নিতে বিএনপির দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করলে হেলালুদ্দীন বলেন, “একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসতে হবে। সেখানে তিনি (এসপি) অসহযোগিতা করছে কিনা দেখতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা বা কেউ কোনো অসহযোগিতার রিপোর্ট আসেনি।”

তিনি জানান, তফসিল ঘোষণার পর থেকে গত ২৭ দিনে গাজীপুরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো অবনতি হয়েছে বলেও প্রতিবেদন আসেনি তাদের কাছে। বৈঠকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরাও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছেন।

দুই সিতে স্বল্প পরিসরে ইভিম ব্যবহারের পরিকল্পনা থাকলেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানান ইসি সচিব।

সোশাল মিডিয়া নিয়ে শিগগিরই বৈঠক

দুই সিটি নির্বাচন সামনে রেখে অপপ্রচার ও গুজব ছাড়ানো রোধে সোশাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে বিটিআরসি ও অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে ‘গুজব ছড়িয়ে উত্তেজনা সৃষ্টির’ রেশ ধরেই ইসি সোশাল মিডিয়া নিয়ে ভাবছে।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, “ভোটেও অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানোর শঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো যাতে না করা হয়; সেজন্যে কীভাবে সোশাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায় বা নিরাপদে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে মতবিনিময় করা হবে।”

তবে সোশাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি যে সহজ কিছু নয়, সে কথাও স্বীকার করেছেন তিনি।

গণমাধ্যমের সঙ্গেও বসতে চায় ইসি

ভোটের দিন ভোটকেন্দ্র থেকে সরাসরি সম্প্রচার এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে কাজ করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বসবে বলে জানান ইসি সচিব।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আগে কোথাও কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। আমরা চাই- মিডিয়া ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের মধ্যে যেন ভুল বোঝাবোঝি না হয়; সে জন্যে গণমাধ্যমের সঙ্গে মত বিনিময় করা হবে।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা