• বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সাভারের আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নীলফামারীর ডোমারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ, বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে সংশ্লিষ্টরা কমিটিতে স্থান পাবে -জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ । সাগর-রুনি হত্যা মামলা সরকারের অগ্রাধিকার মামলার শীর্ষে : পরিবেশ উপদেষ্টা আদালত, প্রসিকিউশন, প্রশাসন ও পুলিশের সমন্বয়ে কাজ করলে জনগণ ন্যায়বিচার পাবে : আইন উপদেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এবং সংস্কারে মার্কিন অব্যাহত সহায়তা কামনা প্রধান উপদেষ্টার শেখ হাসিনা দেশ অস্থিতিশীল করলে দায় ভারতের : মামুনুল হক সাবেক এমপি মজিদ খান গ্রেপ্তার মানবাধিকার লঙ্ঘন কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না: প্রধান উপদেষ্টা সাঈদ খোকন পরিবারের ৭৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

ক্যাপ্টেন নেওশাদের দাফন বনানীতে করা হবে

অনলাইন ডেক্স / ৩৫৬ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১
বৃহস্পতিবার সকালে নওশাদ কাইউমের লাশ ভারতের নাগপুর থেকে দেশে পৌঁছায় - ছবি - সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার সকালে নওশাদ কাইউমের লাশ ভারতের নাগপুর থেকে দেশে পৌঁছায় - ছবি - সংগৃহীত

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমকে বনানী কবরস্থানে তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।

বৃহস্পতিবার সকালে নওশাদ কাইউমের লাশ ভারতের নাগপুর থেকে দেশে পৌঁছায়। তাকে শ্রদ্ধা জানানোর পর বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এ কথা জানিয়েছেন।

এর আগে তার লাশ ভারতের নাগপুর থেকে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে (বিজি-০২৬) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

ঢাকায় আসার পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নওশাদের লাশ বিমান থেকে নামানো হয়। এরপর পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও শ্রদ্ধা জানান সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমানসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

গত বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ অসুস্থ বোধ করেন। সাথে সাথেই তিনি কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কাছে ফ্লাইটটিকে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে ফ্লাইটের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন। কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ফ্লাইটটিকে নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলট ক্যাপ্টেন মুস্তাকিম ফ্লাইটটি অবতরণ করান।

বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটির ফ্লাইটে ১২৪ জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই নিরাপদে ছিলেন। ওইদিনই আরেকটি ফ্লাইটে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। ওইদিন মধ্যরাতের পর বিমানটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে আনা হয়।

ফ্লাইটটি অবতরণের পর ক্যাপ্টেন নওশাদকে নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে দুই দিন চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে ২৯ আগস্ট তাকে হাসপাতালের সার্জিক্যাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এসআইসিইউ) কোমায় নেওয়া হয়। সেখানে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। হার্ট অ্যাটাকের পর তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় বলে জানিয়েছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

২৯ আগস্ট রাতে নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে যান ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের দুই বোন। তারা চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে ক্যাপ্টেন নওশাদের ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা চালু রাখার পক্ষে মত দেন। কিন্তু ৩০ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে না ফেরার দেশে চলে যান ক্যাপ্টেন নওশাদ।

নওশাদ ও তার ফার্স্ট অফিসারের কারণে ২৭ আগস্ট জীবন রক্ষা পেয়েছিল ওমান থেকে ঢাকার উদ্দেশে আসা ১২৪ যাত্রীর। তবে এটিই প্রথম নয়, পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে আরেকটি দুর্ঘটনার হাত থেকে ১৪৯ যাত্রী আর সাত ক্রু’র জীবন বাঁচিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ।

২০১৭ সালে ক্যাপ্টেন নওশাদকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রশংসাপত্র পাঠিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ক্যাপ্টেন রন অ্যাবেল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা